আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে শেষবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন দলটির অধিনায়ক ও বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। তিন মাস বিরতির পর আর্জেন্টিনার ভক্তদের সামনে সুযোগ ছিল ফুটবল বিশ্বের মহাতারকাকে আবার আলবেসিলিস্তের জার্সিতে দেখার। তবে ভক্তদের এই আশা পূরণ হয়নি। মেসি তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার সময় চোটে পড়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। মেসিহীন আর্জেন্টিনা কেমন খেলে তা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দে ছিল দলটির ভক্তরা। তবে মেসিহীন আর্জেন্টিনাও যে কতটুকু ভয়ঙ্কর হতে পারে তা বুঝল মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা রীতিমতো হেসে খেলেই হারাল তাদের। শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। মেসি-দিবালা ও অনান্য তারকাদের ছাড়াই মধ্য আমেরিকার দেশটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা । আলবিসেলেস্তিদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো।
ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ শুরু করে আর্জেন্টিনা। তবে আর্জেন্টিনার এই আক্রমণাত্মক খেলার ফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ১৬ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার থেকে হেডে গোল করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের লিড এনে দেন রোমেরো। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো। দুর্দান্ত এক দলীয় আক্রমণ থেকে পাওয়া সুযোগ ঠিকই কাজে লাগান চেলসি তারকা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির পরও ম্যাচের দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। ৫২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন লো সেলসো। মাঝমাঠে ছোট ছোট পাসে আক্রমণটি তৈরি করে আর্জেন্টিনা। এরপর লাওতারো মার্তিনেজের দারুণ এক অ্যাসিস্টে বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন লো সেলসো। তিন গোল করেও আর্জেন্টিনা আক্রমণের ধারা বজায় রাখে। যদিও সুযোগের সঠিক ব্যবহার না করায় গোল আসেনি। ম্যাচে বল দখলেও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। দাপট দেখিয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে রেখেছিল বল। বিপরীতে এল সালভাদরের দখলে বল ছিল মাত্র ২০ শতাংশ সময়। আর আর্জেন্টিনা যেখানে ২৪টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রেখেছে, এল সালভাদর সেখানে শটই নিতে পেরেছে মাত্র ২টি। দুই দলের পরিসংখ্যানে বিশাল পার্থক্যেই মূলত ফুটে উঠছে ম্যাচের প্রকৃত চিত্র। আর্জেন্টিনা কিছু সহজ সুযোগ মিস না করলে এবং এল সালভাদরের রক্ষণ ও গোলরক্ষক দারুণভাবে কিছু আক্রমণ ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচও হবে মার্কিন মূলকে। ২৭ মার্চ দলটি খেলবে কোস্টারিকার বিপক্ষে।