আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরায় ট্রলির ধাক্কায় উল্টে গেল মাহেন্দ্র, চাপা পড়ে মা ও ছেলে নিহত Logo আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে বিচিত্র নিয়ম Logo বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপ‌তি ও প্রধান উপদেষ্টা Logo সাতক্ষীরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বরখাস্ত Logo নির্বাচিত হলে আশাশুনির সব বেঁড়িবাঁধ টেকসই করা হবে: কাজী আলাউদ্দিন Logo সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo তালায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত Logo কালিগঞ্জে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুদানে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় প্রকাশ Logo হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক গ্রেপ্তার, তদন্তে নতুন অগ্রগতি
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম 01711-211241, 01971 211241

শ্যামনগরে নদীর চরে অবৈধ স্থাপনা

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৫:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রকাশ্যে খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর উত্তর ভামিয়া এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর চর দখলে নিয়ে এই স্থাপনা তৈরি করছেন তিনি।

স্থানীয়দের দাবি, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্রকে হুমকিতে ফেলে এই কাজ করছেন। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরে নদীর পাড়ে মাটি ফেলে নদীর চর ভরাটের কাজ করছেন। এরপর সেখানে একটি ব্যক্তিগত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন।

তারা জানিয়েছেন নদী দখলকারী প্রভাবশালী ওই ইউপি সদস্য জানে যে, ভরাটের কাজটি একবার সম্পূর্ণ হলে তা আর সহজে সরানো যাবে না। এজন্য তাড়াহুড়ো করে তিনি এ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, একজন ইউপি সদস্য হয়ে প্রকাশ্যে এমন ভাবে নদী দখলের কাজ চালালেও রহস্যজনক ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকেই দুষছেন তারা।

তাদের দাবি, এই দখল অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে নদীর পাড়ে আরও দখলের ঘটনা ঘটবে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যাতে নদীর পরিবেশ রক্ষা করা যায় এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

দখল হওয়া ওই স্থান থেকে মাত্র ১০০ ফুট দূরত্বে প্রায় ৪০০ ফুট নদীর চর দেবে গেছে উল্লেখ করে স্থানীয় সংবাদকর্মী উৎপল মন্ডল বলেন, “নদীর চর দখলের এই ঘটনাটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভাঙনের কারণ হতে পারে। এছাড়া, নদীর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এবিষয়ে পরিবেশকর্মী শাহিন আলম বলেন, নদীর চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা কেবল অবৈধই নয়, এটি পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে অতি দ্রুত ওই অবৈধ স্থাপনাসহ উপকূলে অঞ্চলের সকল নদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদী ও খালের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

দখলের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ওখানে আমার একটি ঘর ছিল। সেখানে মাছের রেনু পোনা ক্রয়-বিক্রি করা হতো। এছাড়াও যেহেতু আমি একজন জনপ্রতিনিধি এজন্য এলাকার মানুষের বসার জন্য একটা ঘর তৈরি করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ -১-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (শ্যামনগর পওর শাখা) মোঃ ফরিদুল ইসলাম দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে বলেন, এটি আমাদের অগোচরে হয়েছে। নদীর জায়গায় এভাবে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।

ট্যাগস:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

লেখকের তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় ট্রলির ধাক্কায় উল্টে গেল মাহেন্দ্র, চাপা পড়ে মা ও ছেলে নিহত

শ্যামনগরে নদীর চরে অবৈধ স্থাপনা

আপডেট সময়: ০৫:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রকাশ্যে খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর উত্তর ভামিয়া এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর চর দখলে নিয়ে এই স্থাপনা তৈরি করছেন তিনি।

স্থানীয়দের দাবি, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্রকে হুমকিতে ফেলে এই কাজ করছেন। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরে নদীর পাড়ে মাটি ফেলে নদীর চর ভরাটের কাজ করছেন। এরপর সেখানে একটি ব্যক্তিগত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন।

তারা জানিয়েছেন নদী দখলকারী প্রভাবশালী ওই ইউপি সদস্য জানে যে, ভরাটের কাজটি একবার সম্পূর্ণ হলে তা আর সহজে সরানো যাবে না। এজন্য তাড়াহুড়ো করে তিনি এ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, একজন ইউপি সদস্য হয়ে প্রকাশ্যে এমন ভাবে নদী দখলের কাজ চালালেও রহস্যজনক ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকেই দুষছেন তারা।

তাদের দাবি, এই দখল অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে নদীর পাড়ে আরও দখলের ঘটনা ঘটবে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যাতে নদীর পরিবেশ রক্ষা করা যায় এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

দখল হওয়া ওই স্থান থেকে মাত্র ১০০ ফুট দূরত্বে প্রায় ৪০০ ফুট নদীর চর দেবে গেছে উল্লেখ করে স্থানীয় সংবাদকর্মী উৎপল মন্ডল বলেন, “নদীর চর দখলের এই ঘটনাটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভাঙনের কারণ হতে পারে। এছাড়া, নদীর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এবিষয়ে পরিবেশকর্মী শাহিন আলম বলেন, নদীর চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা কেবল অবৈধই নয়, এটি পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে অতি দ্রুত ওই অবৈধ স্থাপনাসহ উপকূলে অঞ্চলের সকল নদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদী ও খালের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

দখলের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ওখানে আমার একটি ঘর ছিল। সেখানে মাছের রেনু পোনা ক্রয়-বিক্রি করা হতো। এছাড়াও যেহেতু আমি একজন জনপ্রতিনিধি এজন্য এলাকার মানুষের বসার জন্য একটা ঘর তৈরি করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ -১-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (শ্যামনগর পওর শাখা) মোঃ ফরিদুল ইসলাম দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে বলেন, এটি আমাদের অগোচরে হয়েছে। নদীর জায়গায় এভাবে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।