পবিত্র রমজান শুরু উপলক্ষে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে তারাবীহর নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। বার্তা সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরুষ ও তরুণীদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। শুধু ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়। ইসরায়েলি বাহিনী কয়েক মাস ধরে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে তুলকারেম শহর, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলের বালাতা ক্যাম্প। এ ছাড়া তুলকারেমের নুর শামস ক্যাম্পে একটি ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজারে বোমা পড়েছে। অন্যদিকে, বেথলেহেমের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় তুকু শহরের প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত ১৩ হাজার ‘সন্ত্রাসী’ ছিল। রোববার জার্মানির এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হত্যার বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য জানাননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করে। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় ৩১ হাজার ৪৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৩ শিশুসহ ৪২৫ জন নিহত হয়েছেন। চলমান এই সংঘাত ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ, অর্থাৎ গাজার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিপর্যয়মূলক পর্যায়ের মুখোমুখি হয়েছে।