“সবার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য চাই—খাদ্য অধিকার আইন চাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির আয়োজনে উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ-এর সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্রীসেন্ট সংস্থার পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকী এবং সঞ্চালনা করেন স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক ব্যক্তিত্ব ডা. নজরুল ইসলাম, সিডো সংস্থার পরিচালক শ্যামল বিশ্বাস, উষা সংস্থার পরিচালক মো. সামসুজ্জোহা, এ্যাব জেলা সম্পাদক আনিছুর রহমান, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, ভূমিহীন নেতা আ. সামাদ, কৃষক নেতা মফিরুল রহমান, নাগরিক নেতা স্বপন পান্ডে, আশা সংস্থার সভানেত্রী রূপা বসু, যুব নেতা তরিকুল ইসলাম অন্তর, উন্নয়ন কর্মী ফারুক রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ এখনো তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে চলে গেছে (বিশ্বব্যাংক)। খাদ্য প্রাপ্যতা, অভিগম্যতা, ব্যবহার ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগের অভাবে সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)-এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে নিম্ন আয়ের ৩৮ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। বক্তারা বলেন, “অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে জনগণের জন্য খাদ্য প্রাপ্তি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অথচ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার—এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।”
সুপারিশমালা:
অবিলম্বে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা ও প্রান্তিক মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি।
নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিসর বৃদ্ধি ও বৈষম্য হ্রাস।
দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ।
খাদ্য পুষ্টিমান নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে কঠোরতা।
উপকূলীয় অঞ্চলে লবণসহিষ্ণু ধানের বীজ ব্যবহারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
খাদ্য অধিকার ইস্যুতে নাগরিক সমাজ, কৃষক, যুব, নারী ও গবেষকদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।
রিপোর্টার 























