সিলেটের উইকেটের চেহারার সাথে মিল নেই চট্টগ্রামের উইকেটে। উইকেটের উপর সবুজ ঘাসের আস্তরণ দেখা গেলেও বেশ ক’টি ফাটল দৃশ্যমান। নতুন বলে পেসারদের বল পিচ করে যতোটা বাউন্স পাওয়ার কথা, তা দেখা যায়নি প্রথম সেশনে। ফলে টসে হেরে বোলিং করতে নেমে প্রথম সেশনে সফরকারী দলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। দুই পেসার খালেদ-হাসান মাহমুদ ভয়ংকর রূপ ছড়াতে পারেননি। সাকিবও প্রত্যাবর্তন টেস্টে প্রথম স্পেলে (২-০-১১-০) ছিলেন নির্বিষ। মিরাজকেও স্বাচ্ছন্দে খেলেছে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। লাঞ্চের আগে দুই ওভার বোলিংয়ে অবশ্য শ্রীলঙ্কা ওপেনারদের বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টা করেছেন তাইজুল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম আধঘন্টার মধ্যেই ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ ছিল। একবার নয়, দু’বার সুযোগ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা ওপেনার মাধুস্কা। অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে মাধুস্কার দেয়া ক্যাচ সেকেন্ড স্লিপে নিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ৪র্থ বলে একই পজিশনে, একই ফিল্ডারের হাত থেকে ক্যাচ ফসকে গেছে। এই ক্যাচ ড্রপের মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। ৯ রানের মাথায় দু দফায় বেঁচে যাওয়া মাধুস্কা হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। যে পার্টনারশিপ থেমে যেতে পারতো ১৩ রানে, সেই ওপেনিং পার্টনারশিপ লাঞ্চ ব্রেক পার করে দলের স্কোর টেনে নিয়েছে ৮৮/০ পর্যন্ত। মাধুস্কা ৫৫ এবং করুণারত্নে ৩৩ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন। প্রথম ঘন্টায় শ্রীলঙ্কা স্কোর করেছে উইকেটহীন ৫০, পরের ঘন্টায় সতর্ক ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে যোগ করেছে শ্রীলঙ্কা ৩৮ রান। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ৭১৩/৯ স্কোরের অতীত আছে শ্রীলঙ্কার। সেই অতীতেরই কি পুনরাবৃত্তি দেখতে যাচ্ছে দর্শক ? প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং সে শঙ্কারই আলামত দিচ্ছে।