আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo কলারোয়ায় সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদে মতবিনিময় করলেন বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন Logo ইয়েমেনের হুথি ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধির নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের Logo জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দল হবে না Logo সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়——- ড. ইউনূস Logo আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত ৪৬ Logo সাতক্ষীরায় লটারীতে টিকে থাকা ৭১ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগের দাবিতে অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন Logo বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ Logo ভারত থেকে ২৪ হাজার টন চাল আসছে কাল Logo জাহাজে সাত খুন: গ্রেপ্তার ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে Logo বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

অর্থ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৭:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১৩ই মার্চ জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকার, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর শতাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।’ এমন বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য প্রজ্ঞাপনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চরমভাবে হতাশ ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার মূল চালিকাশক্তি। সেই সঙ্গে জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইহা সত্ত্বেও একই বেতন স্কেলে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা-দর্শন বিরোধী বলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে।

উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ও গবেষণার মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তখন তাদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ এই উচ্চ লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই পেনশন নীতি বাস্তবায়িত হলে বর্তমান শিক্ষকগণ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হবেন এবং মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবেন ফলশ্রুতিতে দেশ মেধা শূন্য হবে। একই সঙ্গে এই অসন্তোষজনক প্রজ্ঞাপন সরকার এবং শিক্ষকগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।

পেনশন ব্যবস্থার এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষক সমাজের মধ্যে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পেনশন সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখ্যান করছে এবং অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুপ্রশস্ত করার দাবি জানাচ্ছে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কলারোয়ায় সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদে মতবিনিময় করলেন বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

অর্থ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময়: ০৭:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১৩ই মার্চ জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকার, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর শতাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।’ এমন বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য প্রজ্ঞাপনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চরমভাবে হতাশ ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার মূল চালিকাশক্তি। সেই সঙ্গে জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইহা সত্ত্বেও একই বেতন স্কেলে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা-দর্শন বিরোধী বলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে।

উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ও গবেষণার মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তখন তাদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ এই উচ্চ লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই পেনশন নীতি বাস্তবায়িত হলে বর্তমান শিক্ষকগণ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হবেন এবং মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবেন ফলশ্রুতিতে দেশ মেধা শূন্য হবে। একই সঙ্গে এই অসন্তোষজনক প্রজ্ঞাপন সরকার এবং শিক্ষকগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।

পেনশন ব্যবস্থার এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষক সমাজের মধ্যে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পেনশন সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখ্যান করছে এবং অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুপ্রশস্ত করার দাবি জানাচ্ছে।