আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষে মতবিনিময় সভা Logo আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভা Logo ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী Logo শ্যামনগরের সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ Logo সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার Logo সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা Logo ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত Logo সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভা ভন্ডুল,দু’গ্রুপের হাতাহাতি Logo পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০১:১৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ৫ বছর আগে সাতক্ষীরার সদরের কুচপুকুর গ্রামের পরিবহন চালক হুমায়ুন কবীরকে ঢাকা থেকে তুলে এনে বাইপাস সড়কে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি র্অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই আজগার আলী বাদি হয়ে রোববার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন,সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুরের নেছারউদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, তার ভাই রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলামের ছেলে নবের আলীসহ ১৮ জন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কুচপুকুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে হুমায়ুন কবীর একজন পরিবহন শ্রমিক। ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট তৎকালিন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিস ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি র্অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ অন্যান্য আসামীদের সাথে যোগসাজসে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে হুমায়ুন কবিরকে তুলে আনা হয়। ক্রসফায়ার থেকে বাচিয়ে দেওয়ার নামে জজকোর্টের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করে। চাহিদাকৃত ২০ লাখ টাকা না দেওয়ার হুমায়ুন কবীরকে ৫ সেপ্টেম্বর-২৪ ভোরে হুমায়ুনের পিঠের বাম পাশে ও বুকে গুলি করে হত্যার পর বাইপাস সড়কে ফেলে রাখা হয়। পরে ক্রসফায়ারে কবীর মারা গেছে মর্মে স্থানীয় আসামীরা উল্লাস করে। ওইদিন বিকেলে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে হুমায়ুন কবীরের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মশিউর রহমান জানান, চারজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষে মতবিনিময় সভা

সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট সময়: ০১:১৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ৫ বছর আগে সাতক্ষীরার সদরের কুচপুকুর গ্রামের পরিবহন চালক হুমায়ুন কবীরকে ঢাকা থেকে তুলে এনে বাইপাস সড়কে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি র্অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই আজগার আলী বাদি হয়ে রোববার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন,সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুরের নেছারউদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, তার ভাই রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলামের ছেলে নবের আলীসহ ১৮ জন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কুচপুকুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে হুমায়ুন কবীর একজন পরিবহন শ্রমিক। ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট তৎকালিন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিস ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি র্অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ অন্যান্য আসামীদের সাথে যোগসাজসে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে হুমায়ুন কবিরকে তুলে আনা হয়। ক্রসফায়ার থেকে বাচিয়ে দেওয়ার নামে জজকোর্টের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করে। চাহিদাকৃত ২০ লাখ টাকা না দেওয়ার হুমায়ুন কবীরকে ৫ সেপ্টেম্বর-২৪ ভোরে হুমায়ুনের পিঠের বাম পাশে ও বুকে গুলি করে হত্যার পর বাইপাস সড়কে ফেলে রাখা হয়। পরে ক্রসফায়ারে কবীর মারা গেছে মর্মে স্থানীয় আসামীরা উল্লাস করে। ওইদিন বিকেলে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে হুমায়ুন কবীরের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মশিউর রহমান জানান, চারজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।