আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আদালত দিল বড় নির্দেশ

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৬:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার মিস্ত্রি বাঁশিওয়াল। ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ ধারাবাহিক থেকে অভিনেত্রী খ্যাতি পায়। ধারাবাহিকে জেনিফারকে মিসেস রোশন সিং সোদির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। গত বছর টিভির ধারাবাহিকের প্রযোজক অসিত কুমার মোদীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন জেনিফার। তারপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তারক মেহতা খ্যাত এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি সেই মামলারই শুনানি দেন কোর্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,, মামলায় জিতেছেন জেনিফার। শুধু তাই নয়, অসিত কুমার মোদীকে তার অনাদায়ী বকেয়া এবং ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার এই খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই খবর সত্যি। আমি জিতেছি কিন্তু আমি আংশিক খুশি। রায় পাস হওয়ার ৪০ দিনেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি বকেয়া পরিমাণ টাকা পায়নি। আমার টাকা বকেয়া থাকার পর এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে কিন্তু পরিশোধ করা হয়নি এবং এখনও কোনো বিচার হয়নি।’

জেনিফার ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ প্রকল্পের প্রধান সোহেল রামানি এবং নির্বাহী প্রযোজক যতীন বাজাজের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সোহেল এবং যতীনকে রায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তাই আমি খুশি নই। স্থানীয় কমিটি আমাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, কারণ আমি এই পরিমাণ প্রাপ্য। জেনিফার আরও বলেন, ‘গত এক বছরে আমি যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম তার কী হবে? বরং অপরাধীরা নির্দোষ বলে পরিচয় দিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু একটাই কথা, সরকারি কর্তৃপক্ষের এই রায়ে সব হাওয়া পরিষ্কার হয়ে যায় যে আমার মামলাটি বানোয়াট নয় বা আমি মহিলা কার্ড খেলিনি।’ যেমন অনেকেই আমাকে প্রাথমিকভাবে বিচার করেছিলেন। আমি কেবল ঘটনাগুলি বর্ণনা করছিলাম। আমি খুশি যে আমার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার স্বীকৃত হয়েছে। তবে, আমি অনুভব করি না যে আমাকে সঠিক বিচার দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ৪৫ বছর বয়সি জেনিফার অভিনয় জীবন শুরু করেন ২০০০ সালে। ২০০৬ সালে বিখ্যাত ধারাবাহিক সিআইডিতে অভিনয় করেন। এরপর থেকেই জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে তার। এরপর ২০০৮ সালে ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’-তে যোগ দিয়ে আরও জনপ্রিয়তা বাড়ে। কিন্তু যৌন হেনস্তার শিকার হয়ে অভিনেত্রীকে ২০২৩ সালে এ সিরিয়ালের শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আদালত দিল বড় নির্দেশ

আপডেট সময়: ০৬:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার মিস্ত্রি বাঁশিওয়াল। ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ ধারাবাহিক থেকে অভিনেত্রী খ্যাতি পায়। ধারাবাহিকে জেনিফারকে মিসেস রোশন সিং সোদির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। গত বছর টিভির ধারাবাহিকের প্রযোজক অসিত কুমার মোদীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন জেনিফার। তারপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তারক মেহতা খ্যাত এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি সেই মামলারই শুনানি দেন কোর্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,, মামলায় জিতেছেন জেনিফার। শুধু তাই নয়, অসিত কুমার মোদীকে তার অনাদায়ী বকেয়া এবং ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার এই খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই খবর সত্যি। আমি জিতেছি কিন্তু আমি আংশিক খুশি। রায় পাস হওয়ার ৪০ দিনেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি বকেয়া পরিমাণ টাকা পায়নি। আমার টাকা বকেয়া থাকার পর এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে কিন্তু পরিশোধ করা হয়নি এবং এখনও কোনো বিচার হয়নি।’

জেনিফার ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ প্রকল্পের প্রধান সোহেল রামানি এবং নির্বাহী প্রযোজক যতীন বাজাজের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সোহেল এবং যতীনকে রায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তাই আমি খুশি নই। স্থানীয় কমিটি আমাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, কারণ আমি এই পরিমাণ প্রাপ্য। জেনিফার আরও বলেন, ‘গত এক বছরে আমি যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম তার কী হবে? বরং অপরাধীরা নির্দোষ বলে পরিচয় দিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু একটাই কথা, সরকারি কর্তৃপক্ষের এই রায়ে সব হাওয়া পরিষ্কার হয়ে যায় যে আমার মামলাটি বানোয়াট নয় বা আমি মহিলা কার্ড খেলিনি।’ যেমন অনেকেই আমাকে প্রাথমিকভাবে বিচার করেছিলেন। আমি কেবল ঘটনাগুলি বর্ণনা করছিলাম। আমি খুশি যে আমার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার স্বীকৃত হয়েছে। তবে, আমি অনুভব করি না যে আমাকে সঠিক বিচার দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ৪৫ বছর বয়সি জেনিফার অভিনয় জীবন শুরু করেন ২০০০ সালে। ২০০৬ সালে বিখ্যাত ধারাবাহিক সিআইডিতে অভিনয় করেন। এরপর থেকেই জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে তার। এরপর ২০০৮ সালে ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’-তে যোগ দিয়ে আরও জনপ্রিয়তা বাড়ে। কিন্তু যৌন হেনস্তার শিকার হয়ে অভিনেত্রীকে ২০২৩ সালে এ সিরিয়ালের শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়।