আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক Logo যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও গাজায় ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা, নিহত ৪০ Logo ব্লু পেপার চালু রাখার দাবিতে সাতক্ষীরার নির্বাহী আদালতে আইনজীবীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি,ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা Logo সাতক্ষীরা শ্যামনগরে লাইসেন্স বিহীন ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ কালো ধোয়ায় অতিষ্ঠ বসতি এলাকা Logo তালা রিপোর্টার্স ক্লাবের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত Logo এইচএমপিভি থেকে বাঁচতে যা করবেন Logo দেবহাটার ৫ ইউনিয়নে বিএনপি’র নতুন কমিটি ঘোষণা Logo গাজা গণহত্যার অন্ধকারতম অধ্যায় ‘জ্ঞানহত্যা’ Logo প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিলেন ৪ কমিশন Logo ভ্যাট-শুল্ক ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও গাজায় ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা, নিহত ৪০

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অবশেষে টানা ১৫ মাস ধরে চলা নৃশংসতার পর যুদ্ধবিরতির কথা জানা গেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যুদ্ধবিরতির সংবাদ আসার পর উল্লাসে নেমেছেন গাজাবাসী। তবে এর মধ্যেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও হামলা চালিয়েছে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে রিমালে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে এসব হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাস এবং ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

দীর্ঘ কয়েক মাস আলোচনার পর এই চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল, যার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে পৃথক বৈঠকের পর উভয় পক্ষ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে”। যুদ্ধবিরতির খবর জানার পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনেককে রাস্তায় উল্লাস করতে দেখা গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। এই সময়ে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। প্রতিজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। এসব হামলায় গত ১৫ মাসে ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও গাজায় ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা, নিহত ৪০

আপডেট সময়: ১২:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অবশেষে টানা ১৫ মাস ধরে চলা নৃশংসতার পর যুদ্ধবিরতির কথা জানা গেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যুদ্ধবিরতির সংবাদ আসার পর উল্লাসে নেমেছেন গাজাবাসী। তবে এর মধ্যেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও হামলা চালিয়েছে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে রিমালে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে এসব হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাস এবং ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

দীর্ঘ কয়েক মাস আলোচনার পর এই চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল, যার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে পৃথক বৈঠকের পর উভয় পক্ষ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে”। যুদ্ধবিরতির খবর জানার পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনেককে রাস্তায় উল্লাস করতে দেখা গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। এই সময়ে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। প্রতিজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। এসব হামলায় গত ১৫ মাসে ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।