গতকালই যে ক্লাবের হয়ে পুরো ফুটবল ক্যারিয়ার খেলেছেন সেই জার্সি আর ক্লাবকে বিদায় বলে দিয়েছেন জার্মান তারকা মার্কো রয়েস। বুন্দেলিগার ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডে এক যুগ ধরে খেলার পর অবশেষে ডর্টমুন্ড ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন রয়েস। ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে নিজের শেষ ম্যাচে তিনি ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছেন। পুরো স্টেডিয়াম ভর্তি বুরুশিয়া ভক্তদের জন্য বিয়ার কিনে দিয়েছেন তিনি। শনিবার (১৮ মে) বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কিংবদন্তি মার্কো রয়েস তার ক্লাবের হয়ে শেষ বুন্দেসলিগা খেলায় উপস্থিত প্রায় সকল ভক্তদের জন্য বিয়ার কিনেছেন। অবশ্য শুধু বিয়ার কিনে দিয়েই নয় ডর্টমুন্ডের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচটি একটি গোল ও অ্যাসিস্ট করেও স্মরণীয় করে রাখলেন ৩৪ বছর বয়সী এই জার্মান। রয়েসের এই উদ্যোগ অবশ্য পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। তিনি বিয়ার কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, “এটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল একেবারে নিখুঁত একটি পরিকল্পনা, আমি ডর্টমুন্ড সমর্থকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি অশেষ কৃতজ্ঞ।”
উল্লেখ্য ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে রয়েসের শেষ ম্যাচে ৮১,০০০ এরও বেশি সমর্থক মাঠে উপস্থিত ছিল। যদিও সবাই আইনত বিয়ার পান করার বয়সের ছিল না তবে নিশ্চিতভাবেই অনেক সমর্থক তাদের বিদায়ী অধিনায়কের উদার প্রস্তাবের সুযোগ নিয়েছেন। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে রয়েসের সই করা একটি নোট পোস্ট করে। যেখানে তিনি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেন, “সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! বিদায় বিয়ার আমার তরফ থেকে” শেষে একটি হাসিমুখ একে তিনি লিখেন আপনাদেরর মার্কো। রয়েস সিগনাল ইদুনা পার্কে নিজের শেষ পারফরম্যান্সে ৩৮তম মিনিটে একটি চমকপ্রদ ফ্রি কিক থেকে গোল এবং বুরুশিয়ার করা চার গোলের প্রথমটিতে অ্যাসিস্ট করেন। তাই সেক্ষেত্রে জার্মান এই তারকার জন্য নিখুঁত বিদায় ছিল এটি।
ডর্টমুন্ডের স্পোর্টিং ডিরেক্টর সেবাস্টিয়ান কেহল রয়েসের বিদায় সম্পর্কে বলেন, “আপনি এটি আর কোনো সুন্দরভাবে কল্পনা করতে পারবেন না তবে এটি একটি নিখুঁত বিদায় হবে যদি আমরা তাকে আবার দুই সপ্তাহের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মুকুট দিতে পারি। সুতরাং এটি এখানে তার শেষ কাজ ছিল, তবে আমার বিশ্বাস আরেকটি আসতে চলেছে। আমরা ওয়েম্বলিতে একটি ভালো কিছুর আশা নিয়েই যাবো।” ডর্টমুন্ড আগামী ১ জুন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে। রয়েস, যিনি ডর্টমুন্ডের সাথে দুবার জার্মান কাপ জিতেছেন এবং ২০১২ এবং ২০১৯ সালে ক্লাবের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চাইবেন তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা যুক্ত করে ডর্টমুন্ডকে বিদায় বলতে।