শুক্রবার রাতে ব্রিটিশ সংবাদম দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ইংলিশ পেস বোলিং তারকা জেমস অ্যান্ডারসনের টেস্ট থেকে বিদায় নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সবাই ধারণা করছিল চলতি মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে শেষবার সাদা জার্সিতে মাঠে নামবেন টেস্টে ৭০০ উইকেটের মালিক। অনেকের ধারণা ছিল পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডে নারী দলের মধ্যেকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ধারাভাষ্য কেন্দ্র থেকে অবসরের ঘোষণা দেবেন অ্যান্ডারসন। তবে সব গুঞ্জন থামিয়ে ৪১ বছর বয়সী পেসার নিজেই দিলেন তার অবসরের ঘোষণা। টেস্ট ক্রিকেটে একমাত্র পেসার হিসেবে ৭০০ উইকেটের মালিক এই পেসার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন ইংলিশদের হয়ে তার শেষ ম্যাচ করে হবে সেই ঘোষণা। অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি জানান ক্রিকেটের তীর্থস্থান খ্যাত লর্ডস স্টেডিয়ামেই তিনি খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। চলতি গ্রীষ্মে লর্ডসের প্রথম টেস্টই হবে জিমি অ্যান্ডারসনের শেষ টেস্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অ্যান্ডারসন লিখেছন, ‘সবাইকে একটা কথা জানাতে চাই, লর্ডসে ইংলিশ সামারের প্রথম টেস্টই আমার শেষ টেস্ট হতে যাচ্ছে। শৈশব থেকে যে খেলাকে ভালোবেসে এসেছি, সেই খেলায় ২০ বছর ধরে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটা আসলেই অবিশ্বাস্য ব্যাপার। ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামার মুহূর্তটা আমি খুব মিস করব। তবে আমি জানি, এটাই সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময়।’ ৪১ বছর বয়সী এই পেসার আরও লিখেন, ‘ড্যানিয়েলা, লোলা, রুবি ও বাবা-মার ভালোবাসা এবং সমর্থন না পেলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না। বিশাল ধন্যবাদ তাদের, একইসঙ্গে যেসব খেলোয়াড় ও কোচ বিশ্বের সেরা কাজে আমাকে নিয়োজিত করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ। সামনে থাকা নতুন চ্যালেঞ্জ, একইসঙ্গে আরও বেশি গলফ খেলে দিনগুলো পার করা নিয়ে রোমাঞ্চিত আমি। বছরের পর বছর ধরে আমার পাশে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ, সবসময় আমার কাছে এর (পাশে থাকার) মানেটা বিশাল। এমনকি আমার চেহারায় সেই প্রতিচ্ছবি ফুটে না ওঠলেও। (বিদায়ী) টেস্টে দেখা হবে।’
২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন অ্যান্ডারসন। পরের বছরই লর্ডসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত সেই লর্ডসেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। আগামী ১০ জুলাই শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টটি। সবশেষ ভারত সফর খুব একটা ভালো যায়নি অ্যান্ডারসনের। যদিও সেই সিরিজেই একমাত্র পেসার হিসেবে ৭০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সাদা পোশাকে তার উপরে আছেন কেবল দুজন বোলার মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০) ও শেন ওয়ার্ন (৭০৮)। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ওয়ার্নকে টপকাতে পারবেন কি অ্যান্ডারসন?