আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241
দামে মিলছেনা সাড়া, বিপাকে খামারি ও বিক্রেতারা

শেষ সময়ে জমছেনা সাতক্ষীরার পশুর হাটে কেনা-বেচা

  • আব্দুর রহমান
  • আপডেট সময়: ০১:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরায় পশুর হাটে ক্রেতা সংকটে জমছেনা কেনা-বেচা। ক্রেতারা দাম বেশি বললেও বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় তারা লোকসানে পড়েছেন। গরু কেনাবেচা কম হওয়ায় হাটমালিকরাও লোকসানের আশঙ্কায়।

তিনদিন পর ঈদুল আজহা। জেলার সবচেয়ে বড় হাট আবাদের হাটে মঙ্গলবার গরু বিক্রি কম ছিল। গরুর সংখ্যাও অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। একই অবস্থা বুধবার পাটকেলঘাটা হাটেও।

আবাদের হাটে গরু বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকায়, তবুও ক্রেতা নেই। বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে, এই দামে গরু বিক্রি কঠিন। ক্রেতারা চাচ্ছেন আরও কম দাম।

পাটকেলঘাটায় গরু কিনতে আসা মাহতাবউদ্দীন জানান, ৩ মণের কম গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার, যা তার কাছে ৯০ হাজারের বেশি নয়।
বিক্রেতা আরশেদুল ইসলাম জানান, ১০টি গরু নিয়ে এসে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪টি।

ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরায় খামার বেড়েছে। দুই বছরে ১০ হাজার থেকে খামার বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার। গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু গরুর দাম বাড়েনি। গত বছর ৩২-৩৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এবার ২৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

খামারি আমিনুর রহমান জানান, বিচালি, কুড়া, খৈলসহ খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হলেও মাংসের দাম বাড়েনি। সরকারের উচিত গো-খাদ্য ও মাংসের দামের সামঞ্জস্য রাখা।

আবাদের হাটের ইজারাদার ফারুক রহমান জানান, অর্ধকোটি টাকা ইজারা নিয়েও লোকসানের মুখে পড়েছেন। বড় গরুর ক্রেতা নেই, বিক্রি হচ্ছে শুধু ছোট গরু।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, স্থায়ী হাট ১১টি, অস্থায়ী অনেক। প্রস্তুত গবাদিপশু ১ লাখ ৬৬টি, চাহিদা ৮৫ হাজার ৩১৮টি। উদ্বৃত্ত ১৫ হাজার ২৮৮টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, হাটে রুগ্ন পশু বিক্রি ঠেকাতে তদারকি চলছে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দামে মিলছেনা সাড়া, বিপাকে খামারি ও বিক্রেতারা

শেষ সময়ে জমছেনা সাতক্ষীরার পশুর হাটে কেনা-বেচা

আপডেট সময়: ০১:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

সাতক্ষীরায় পশুর হাটে ক্রেতা সংকটে জমছেনা কেনা-বেচা। ক্রেতারা দাম বেশি বললেও বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় তারা লোকসানে পড়েছেন। গরু কেনাবেচা কম হওয়ায় হাটমালিকরাও লোকসানের আশঙ্কায়।

তিনদিন পর ঈদুল আজহা। জেলার সবচেয়ে বড় হাট আবাদের হাটে মঙ্গলবার গরু বিক্রি কম ছিল। গরুর সংখ্যাও অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। একই অবস্থা বুধবার পাটকেলঘাটা হাটেও।

আবাদের হাটে গরু বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকায়, তবুও ক্রেতা নেই। বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে, এই দামে গরু বিক্রি কঠিন। ক্রেতারা চাচ্ছেন আরও কম দাম।

পাটকেলঘাটায় গরু কিনতে আসা মাহতাবউদ্দীন জানান, ৩ মণের কম গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার, যা তার কাছে ৯০ হাজারের বেশি নয়।
বিক্রেতা আরশেদুল ইসলাম জানান, ১০টি গরু নিয়ে এসে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪টি।

ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরায় খামার বেড়েছে। দুই বছরে ১০ হাজার থেকে খামার বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার। গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু গরুর দাম বাড়েনি। গত বছর ৩২-৩৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এবার ২৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

খামারি আমিনুর রহমান জানান, বিচালি, কুড়া, খৈলসহ খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হলেও মাংসের দাম বাড়েনি। সরকারের উচিত গো-খাদ্য ও মাংসের দামের সামঞ্জস্য রাখা।

আবাদের হাটের ইজারাদার ফারুক রহমান জানান, অর্ধকোটি টাকা ইজারা নিয়েও লোকসানের মুখে পড়েছেন। বড় গরুর ক্রেতা নেই, বিক্রি হচ্ছে শুধু ছোট গরু।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, স্থায়ী হাট ১১টি, অস্থায়ী অনেক। প্রস্তুত গবাদিপশু ১ লাখ ৬৬টি, চাহিদা ৮৫ হাজার ৩১৮টি। উদ্বৃত্ত ১৫ হাজার ২৮৮টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, হাটে রুগ্ন পশু বিক্রি ঠেকাতে তদারকি চলছে।