আজ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

বাগেরহাটে কাল বৈশাখীতে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত: আহত ১০, বজ্রপাতে নিহত ১

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০১:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটে কাল-বৈশাখি ঝড়ের তান্ডবে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝড়ে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে ১০ জন আহত হয়েছেন। ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কচুয়া উপজেলার চরসোনাকুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (৭এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড় বৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ করে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসে পুরো জেলা। সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষন পরেই শুরু হয় বজ্রসহ ঝড় ও বৃষ্টি। এতে বাগেরহাট সদর উপজেলার পুটিমারি, রাধাবল্লভ, গবরদিয়য়, ডেমা, বাশবাড়িয়া, শহরতলীর মারিয়া পল্লী ও কচুয়া সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাট টার্মিনাল এলাকায় ঝরে বিলবোর্ড পড়ে একটি বাস ও ৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুইজন বাস শ্রমিক আহত হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাধাবল্লব বেড়িবাধ এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, বাধের পাশে আশ্রয় নেয়া তারা ভানু খোলা আকাশের নিচে সন্তাদের নিয়ে বসা আছে। তার ভাষায়, মুহূর্তের মধ্যেই ঘর উড়িয়ে নিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে এখন ঘরের পোতা ছাড়া কিছু নেই, কি করবো কোথায় যাবো বলে ফ্যাল ফ্যাল করে কেদে উঠে। বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৌনে দশটার দিকে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মুহুর্তের মধ্যে চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে। এরপরই প্রচন্ড বাতাস, ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বেশকিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ডেমা এলাকায় রিয়াদ হোসেন বলেন, মূহুর্তের ঘরের চাল সব কিছু ঝড়ে উড়ে গেছে এখন খোলা আাকাশে রয়েছি। কয়েকদিন পর ঈদ কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। সরকারের সহযোগী না পেলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো না ।

গোবরদিয়া এলাকার নিলা বেগম বলেন, সকাল বেলায় ঘেরর কাজ করছিলাম হাঠাৎ করে দমকা হাওয়া কিছু বোঝার আগেই ঘরের চাল, বেড়া, সব কিছু উড়ে গেছে। ঘরের টিন উড়ে গাছের মাথায় উঠে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিছে আছি। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, আকস্মিক ঝড়ে বেশকিছু ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে ক্ষতিপূরণ নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তালিকা পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বাগেরহাটে কাল বৈশাখীতে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত: আহত ১০, বজ্রপাতে নিহত ১

আপডেট সময়: ০১:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

বাগেরহাটে কাল-বৈশাখি ঝড়ের তান্ডবে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝড়ে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে ১০ জন আহত হয়েছেন। ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কচুয়া উপজেলার চরসোনাকুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (৭এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড় বৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ করে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসে পুরো জেলা। সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষন পরেই শুরু হয় বজ্রসহ ঝড় ও বৃষ্টি। এতে বাগেরহাট সদর উপজেলার পুটিমারি, রাধাবল্লভ, গবরদিয়য়, ডেমা, বাশবাড়িয়া, শহরতলীর মারিয়া পল্লী ও কচুয়া সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাট টার্মিনাল এলাকায় ঝরে বিলবোর্ড পড়ে একটি বাস ও ৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুইজন বাস শ্রমিক আহত হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাধাবল্লব বেড়িবাধ এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, বাধের পাশে আশ্রয় নেয়া তারা ভানু খোলা আকাশের নিচে সন্তাদের নিয়ে বসা আছে। তার ভাষায়, মুহূর্তের মধ্যেই ঘর উড়িয়ে নিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে এখন ঘরের পোতা ছাড়া কিছু নেই, কি করবো কোথায় যাবো বলে ফ্যাল ফ্যাল করে কেদে উঠে। বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৌনে দশটার দিকে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মুহুর্তের মধ্যে চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে। এরপরই প্রচন্ড বাতাস, ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বেশকিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ডেমা এলাকায় রিয়াদ হোসেন বলেন, মূহুর্তের ঘরের চাল সব কিছু ঝড়ে উড়ে গেছে এখন খোলা আাকাশে রয়েছি। কয়েকদিন পর ঈদ কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। সরকারের সহযোগী না পেলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো না ।

গোবরদিয়া এলাকার নিলা বেগম বলেন, সকাল বেলায় ঘেরর কাজ করছিলাম হাঠাৎ করে দমকা হাওয়া কিছু বোঝার আগেই ঘরের চাল, বেড়া, সব কিছু উড়ে গেছে। ঘরের টিন উড়ে গাছের মাথায় উঠে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিছে আছি। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, আকস্মিক ঝড়ে বেশকিছু ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে ক্ষতিপূরণ নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তালিকা পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।