দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্ক বা তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে দলটি। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোকে আস্থায় আনতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। বিশেষ করে চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর দ্রুত অভিনন্দন বার্তা পাঠানো বিএনপির রাজনীতিতে কূটনৈতিক ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। এজন্য বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এফআরসি) ভূমিকা নিয়েও চলছে সমালোচনা। যদিও বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বিএনপির নেতারা। সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও অধিকাংশ পশ্চিমা দেশের সঙ্গে বিএনপির আস্থার সম্পর্ক ছিল। তবে ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হলেও অবনতি হয় বেশি। এরপর আর কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি দলটি। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব দিয়ে এফআরসি বা কূটনৈতিক উইং পুনর্গঠনের দাবি উঠেছে। পাশাপাশি শুধু পশ্চিমা নয়—পূর্বমুখী কূটনীতিতে জোর দেওয়া উচিত বলে অনেকেই মনে করছেন।
জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কূটনৈতিক উইংয়ে যাদের দায়িত্ব দেন, তারা ঠিকমতো কাজ করেন না। আবার যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাদের অনেকেই পছন্দ করেন না। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন ও ভারতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি নানা কারণে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করতে না পারা এবং কূটনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া বিএনপির অন্যতম ব্যর্থতা বলে মনে করছেন অনেকে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকাসহ পশ্চিমারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমেরিকার ভূমিকায় বিএনপি ও যুগপতের শরিক দলগুলোর মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র এবার বাংলাদেশে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতে বেশ আগে থেকেই সরকারের ওপর চাপ তৈরিতে তৎপর ছিল। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এ নীতির অধীনে বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন তিনি। অনেকের মতে নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনে পিটার হাস তখন ‘দূতিয়ালির ভূমিকা’ রেখেছেন!
এদিকে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের এক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নির্বাচন সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপিসহ ভোট বর্জনের আন্দোলনে থাকা দলগুলো মনে করে, নির্বাচনের পরের এই বিবৃতির এক ধরনের মূল্য থাকলেও এটি সরকারের জন্য বড় কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। কেননা ভূ-রাজনৈতিক তথা বৈশ্বিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীত বলয়ে থাকা দেশ রাশিয়া ও চীনসহ অনেক দেশ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এমনকি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ভারতও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব শেষ পর্যন্ত কত দূর এগোবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বিএনপিতে। দলের নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপটা আগে হলে ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র অথবা পশ্চিমা দেশগুলো কোনো বিশেষ দল বা সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নেয় না। বৈশ্বিক ও ভূরাজনীতির কৌশলগত দিকগুলো অবশ্যই তারা বিবেচনায় রাখে। কেননা পশ্চিমাদের মানসিকতা বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক গঠন প্রকৃতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের কার্যপদ্ধতিও বাংলাদেশের থেকে ভিন্ন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে সবকিছুতে ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি ভিন্ন দল ও মতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। চাইলেই কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে তারা নিতে পারে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান গতকাল কালবেলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের বৈশিষ্ট্য তারা সবসময় রাজনীতির বিষয়ে নিজের মতো করে একটা উপলব্ধি তৈরি করে। এমন বাস্তবতা থেকেই সম্ভবত নির্বাচনের আগে মানুষ ভেবেছিল যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিদেশি শক্তিগুলো যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে, তা বাস্তবায়নে তারা কোনো না কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বৈশ্বিক রাজনীতির পরিক্রমায় উপলব্ধি করতে হবে যে, আজকের যুগে কিন্তু বিশ্ব সেই ১৯৬০-এর দশকে নেই। এই ভিন্ন বাস্তবতায় ভূরাজনীতির গতি-প্রকৃতি পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বে রাজনীতির যে ধারা, সেখানে এ ধরনের পরিবর্তন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসবে না। সুতরাং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসন ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের মানুষকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে—এটা স্পষ্ট।’
কূটনৈতিক বিষয়ে খবর রাখেন এবং বিএনপির রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করেন—এমন ব্যক্তিদের মতে, বর্তমান যুগে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে চোখ-কান খোলা রাখলেই শুধু হয় না, বরং অন্তর্দৃষ্টিও রাখতে হয়; কিন্তু বিএনপির এফআরসির সেই দক্ষতা কতটুকু আছে—তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কেননা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নানা অনিয়মের বিষয় আলোচনায় এলেও আন্তর্জাতিক মহলে তা ভালোভাবে তুলে ধরতে পারেনি তারা। বলা হচ্ছে, ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর বৈদেশিক সম্পর্কোন্নয়নে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে বিএনপি। পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে খ্যাতিমান বা সে মহলে ভালো যোগাযোগ এবং জানাশোনা আছে, এমন কোনো ব্যক্তি এখন এফআরসিতে নেই। ফলে বিশ্বের চলমান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সেভাবে সামলাতে পারছে না দলটি। তাই পেশাদার কূটনীতিক এবং দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এফআরসি পুনর্গঠন তথা ঢেলে সাজানোর কথাও বলছেন দলের নেতাকর্মী ও পর্যবেক্ষকরা। তবে বর্তমান কমিটির একাধিক সদস্যের দাবি, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকগুলো প্রমাণ করে, তারা এ ক্ষেত্রে সফল। যেটি তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় করতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছিল বিএনপির বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি। এই কমিটির সিনিয়র সদস্যদের অনেকেই অসুস্থতার কারণে ধারাবাহিকভাবে মিটিংয়ে আসতে পারেন না। অনেকে অংশ নিলেও বাড়তি চাপ নিতে অনীহা ছিল তাদের মধ্যে। এ ছাড়া এমন সদস্যও ছিলেন—যাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারণা ও কৌশল সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এসব কারণেই মূলত পিছিয়ে পড়ে এ কমিটি।
সম্প্রতি বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব দেয় বিএনপির হাইকমান্ড। যার ফল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক। তা ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন, দেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার প্রকাশ্যে কথা বলছে। নির্বাচনকে ‘স্বীকৃতি’ দেয়নি। এসব সাফল্য হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে বিএনপির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘চলমান আন্দোলন সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে বিএনপি ব্যর্থ হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তো নির্দিষ্ট কোনো দলকে সমর্থন করে না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণকে সমর্থন করে। যেখানে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ও ৬৩টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখান করেছে। সেখানে তো বিএনপি ব্যর্থ নয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এমনকি পশ্চিমা বিশ্ব তো আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন ও সরকারকে বৈধতা দেয়নি। এক্ষেত্রে বিএনপির বৈদেশিক কমিটি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করেছেন। তাহলে বিএনপির কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ কীভাবে?’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এফআরসির ২১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খন্দকার আহাদ আহমেদ। বাকিদের বেশিরভাগই নিজ নিজ পেশা ও এলাকার রাজনীতিতে ব্যস্ত। কমিটি গঠনের পর থেকে এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন কয়েকজন সদস্য। তাদের দৌরাত্ম্যের কারণে অনেকেই নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। এ বিষয়ে মুখ না খুললেও নাম গোপন রাখার শর্তে অনেকেই এ তথ্য দিয়েছেন।
২১ সদস্যের এ কমিটিতে এখন বেশি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামা ওবায়েদ এবং আসাদুজ্জামানকে। মাঝেমধ্যে মীর হেলাল ও তাবিথ আউয়ালকে দেখা যায়। এর বাইরে অন্যদের খুব একটা দেখা যায় না। কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, কমিটিতে রাজনীতিকদের মধ্য কাউকে প্রধান করা হলে বাকিদের ওপর চাপ পড়ে। একই সঙ্গে কমিটিতে থাকা সার্বক্ষণিক রাজনীতিকরাও অনীহা দেখান। এ নিয়ে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য, যারা একই সঙ্গে এফআরসির সদস্য, তাদের মধ্যে বেশি বিভাজন রয়েছে। কমিটি গঠনের পর থেকে পাঁচ বছরে কমিটির আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে মাত্র একটি। অনানুষ্ঠানিকভাবে অবহিতকরণ সভা হয়েছে কয়েকটি। ভার্চুয়ালি যোগাযোগই হয় বেশি। ফলে কিছুটা সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে। কমিটির সিনিয়র সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কয়েক মাস ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। কবে ফিরবেন, সেটিও নিশ্চিত নয়। সদস্যদের অভিযোগ, বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো কর্মসূচির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা হয় না। ঢাকার বেশিরভাগ বিদেশি দূতাবাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ঘাটতি আছে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। বিএনপির একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক কালবেলাকে জানান, কূটনৈতিক উইং শক্তিশালী করতে হলে শুধু এফআরসির মাধ্যমেই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে হবে না। অনেক প্রভাবশালী দেশে দলের অনেক নেতা অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে অঞ্চলভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে বিষয়টি সহজ হয়।
তবে বিএনপি কূটনৈতিকভাবে সফল—এমন দাবি করে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এফআরসি) সদস্য অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ গতকাল কালবেলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি আন্দোলন করছে। দেশের মানুষের পাশাপাশি সারা বিশ্বেও বিএনপির এই দাবি প্রতিষ্ঠিত। বিদেশিরাও সমস্বরে বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলছে। তারা অনেক কথা বলেছে, এমনকি পদক্ষেপও নিয়েছে। তাহলে বিএনপির কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ বলবেন কীভাবে?’