আজ সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01711 211241

রেফারিং বিতর্ক: ধুয়ে দিলেন টুখেল, উঁচুমানের বলছেন আনচেলত্তি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৮:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে খেলা চলছিল। এ সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের বলে জাল জড়ান বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান তারকা ম্যাথিয়াস ডি লিট। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইনসম্যান। বাতিল হয় গোলটি। ফলে রিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হেরে যায় বায়ার্ন। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ডি লিটের গোলটি বাতিল না হলে ম্যাচ গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। ফলে ম্যাচ শেষে হলেও রয়েছে গেছে এর রেশ। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে বিতর্ক। সেই ম্যাচের রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াককে একহাত নেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। অন্যদিকে রেফারির পক্ষে সাফাই গাইলেন রিয়াল কোচ।

ম্যাচ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জার্মান ক্লাবটির কোচ বলেন, ‘সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। ফাইনালের খুব কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’ ম্যাচ পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন টুখেল, ‘দুঃখ প্রকাশ করে এখন কোনো লাভ নেই। সবার সর্বোচ্চটা দিতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে, কোনো ভুল ছাড়াই খেলতে হয়েছে সবাইকে। সুতরাং রেফারিকেও সেই মানের হতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনার কাছে সেরাটা প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার।’ তবে এ ধরণের অভিযোগ মানতে রাজি নন রিয়াল কোচ। আনচেলত্তি বলেন, ‘মুভটা একেবারেই স্পষ্ট। লাইনসম্যান পতাকা তুলেছে, রেফারি বাঁশি বাজানোর পরই আমরা থেমে গেছি। তারা যদি এটা নিয়ে অভিযোগ করে, আমরা নাচোর (রিয়াল ডিফেন্ডার) বাতিল হওয়া গোলটি নিয়েও অভিযোগ করতে পারি।’

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে কানাডিয়ান তারকা আলফানসো ডেভিসের গোলে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল। ৭১ মিনিটে গোল করলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তিতে গোলটি করার আগে বায়ার্নের জশুয়া কিমিখকে ফেলে দেন রিয়াল অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ। ফলে বাতিল হয় সেই গোল। পোলিশ মার্চিনিয়াককে বিবেচনা করা হয় তার প্রজন্মের সেরা রেফারি হিসেবে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের (আইএফএফএইচএস) মতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিশ্বসেরা রেফারির মর্যাদা পান মার্চিনিয়াক। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের ৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। গত বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করেন তিনি।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রেফারিং বিতর্ক: ধুয়ে দিলেন টুখেল, উঁচুমানের বলছেন আনচেলত্তি

আপডেট সময়: ০৮:২৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে খেলা চলছিল। এ সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের বলে জাল জড়ান বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান তারকা ম্যাথিয়াস ডি লিট। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইনসম্যান। বাতিল হয় গোলটি। ফলে রিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হেরে যায় বায়ার্ন। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ডি লিটের গোলটি বাতিল না হলে ম্যাচ গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। ফলে ম্যাচ শেষে হলেও রয়েছে গেছে এর রেশ। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে বিতর্ক। সেই ম্যাচের রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াককে একহাত নেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। অন্যদিকে রেফারির পক্ষে সাফাই গাইলেন রিয়াল কোচ।

ম্যাচ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জার্মান ক্লাবটির কোচ বলেন, ‘সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। ফাইনালের খুব কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’ ম্যাচ পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন টুখেল, ‘দুঃখ প্রকাশ করে এখন কোনো লাভ নেই। সবার সর্বোচ্চটা দিতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে, কোনো ভুল ছাড়াই খেলতে হয়েছে সবাইকে। সুতরাং রেফারিকেও সেই মানের হতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনার কাছে সেরাটা প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার।’ তবে এ ধরণের অভিযোগ মানতে রাজি নন রিয়াল কোচ। আনচেলত্তি বলেন, ‘মুভটা একেবারেই স্পষ্ট। লাইনসম্যান পতাকা তুলেছে, রেফারি বাঁশি বাজানোর পরই আমরা থেমে গেছি। তারা যদি এটা নিয়ে অভিযোগ করে, আমরা নাচোর (রিয়াল ডিফেন্ডার) বাতিল হওয়া গোলটি নিয়েও অভিযোগ করতে পারি।’

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে কানাডিয়ান তারকা আলফানসো ডেভিসের গোলে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল। ৭১ মিনিটে গোল করলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তিতে গোলটি করার আগে বায়ার্নের জশুয়া কিমিখকে ফেলে দেন রিয়াল অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ। ফলে বাতিল হয় সেই গোল। পোলিশ মার্চিনিয়াককে বিবেচনা করা হয় তার প্রজন্মের সেরা রেফারি হিসেবে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের (আইএফএফএইচএস) মতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিশ্বসেরা রেফারির মর্যাদা পান মার্চিনিয়াক। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের ৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। গত বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করেন তিনি।