আজ সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ শীর্ষক সভা  Logo বেপরোয়া লুটপাট-চাঁদাবাজি; কালিগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শরিফুলের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী তন্ময় মন্ডলের মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo সাতক্ষীরায় মাদকাসক্ত যুবকের হাতুড়ির আঘাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী নিহত, ঘাতক আটক Logo ভাদ্রের বৃষ্টিতে নাকাল সাতক্ষীরাবাসি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা Logo দেশের ১২ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার Logo চুমকি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় প্রধান আসামীসহ ৬ জন আটক Logo একমাসে ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে : ড. ইউনূস Logo ৫৭ পোশাক কারখানায় ছুটি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ৫৪ Logo ভারতে পাচারের সময় সীমান্তে ২৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ Logo তৌফিক-ই-ইলাহী ৪ দিনের রিমান্ডে
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

রাফায় হামলার বিষয়ে যা বললেন নেতানিয়াহু

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৮:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তীব্র সমালোচনার মুখে অভিযান নিয়ে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মঙ্গলবার (৭ মে) এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করে রাফায় অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সেনারা রাফাহ ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করে এবং হামাসের পতাকা নামিয়ে দেয়। রাফায় আমাদের দুটি লক্ষ্য রয়েছে— জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে নির্মূল করে দেওয়া। আমরা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি— জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে হামাসের ওপর সামরিক চাপ অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যেন রাফায় হামলা না চালায়, তাই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। কিন্তু তাতে আমরা গা করিনি। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়ে দিয়েছে— যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো ইসরায়েলের মৌলিক শর্ত থেকে অনেক দূরে। যা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবুও কায়রোতে আমাদের প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছি। কারণ, আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে চাই। তবে এর জন্য আমরা যুদ্ধ বন্ধ করব না। কারণ, হামাসকে পুনরায় গাজা শাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না। সুযোগ দেওয়া হবে না আবারও সংগঠিত হয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর। এ জন্য রাফায় এই অভিযান। এর মাধ্যমে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়া হবে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে সেখানকার ৪টি সন্ত্রাসী ব্যাটেলিয়ানকেও।’

ইসরায়েলি সেনা নিহতের প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, সম্প্রতি হামাসের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের স্যালুট জানাই। তাদের বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ইসরায়েলিরা নিরাপদে থাকতে পারছে। আমরা একত্রে যুদ্ধ করব এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে একত্র বিজয়ী হবো।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ শীর্ষক সভা 

রাফায় হামলার বিষয়ে যা বললেন নেতানিয়াহু

আপডেট সময়: ০৮:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তীব্র সমালোচনার মুখে অভিযান নিয়ে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মঙ্গলবার (৭ মে) এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করে রাফায় অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সেনারা রাফাহ ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করে এবং হামাসের পতাকা নামিয়ে দেয়। রাফায় আমাদের দুটি লক্ষ্য রয়েছে— জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে নির্মূল করে দেওয়া। আমরা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি— জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে হামাসের ওপর সামরিক চাপ অপরিহার্য।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যেন রাফায় হামলা না চালায়, তাই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। কিন্তু তাতে আমরা গা করিনি। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়ে দিয়েছে— যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো ইসরায়েলের মৌলিক শর্ত থেকে অনেক দূরে। যা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবুও কায়রোতে আমাদের প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছি। কারণ, আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে চাই। তবে এর জন্য আমরা যুদ্ধ বন্ধ করব না। কারণ, হামাসকে পুনরায় গাজা শাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না। সুযোগ দেওয়া হবে না আবারও সংগঠিত হয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর। এ জন্য রাফায় এই অভিযান। এর মাধ্যমে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়া হবে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে সেখানকার ৪টি সন্ত্রাসী ব্যাটেলিয়ানকেও।’

ইসরায়েলি সেনা নিহতের প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, সম্প্রতি হামাসের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের স্যালুট জানাই। তাদের বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ইসরায়েলিরা নিরাপদে থাকতে পারছে। আমরা একত্রে যুদ্ধ করব এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে একত্র বিজয়ী হবো।