আজ মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01711 211241

ইসরায়েলিদের বাঁচাতে ফিলিস্তিনিদের কাছে দুই দেশের আকুতি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১১:২৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

গাজা যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপ সামলাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকার। বিশেষ করে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির জন্য প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ইসরায়েলি সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুকে খানিক স্বস্তি দিতে হামাসের প্রতি ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাসের কাছে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির সঙ্গে কিছু ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। এদিন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সভায় বক্তৃতাকালে ক্যামেরন এই প্রস্তাবকে ‘উদার’ বলে মন্তব্য করেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রত্যেক ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি না পাচ্ছে ততক্ষণ যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, হামাস এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদী। হামাসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের খুব দ্রুতই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তিনি আশা করেন, হামাস সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবে। গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য কাজ করছে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন গাজায় চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে খলিল আল হাইয়্যার নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসর সফর করছে। স্বাধীনতাকামী দলটি বরাবরই বলে আসছে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তাদের আশঙ্কা ইসরায়েল তার সব বন্দির মুক্তির পর গাজার ওপর আরও নির্মমভাবে হামলা শুরু করবে।

এদিকে কট্টরপন্থি ইসরায়েলি মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে জানান, ইসরায়েলি বন্দিদের বিনিময়ে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা হলে তার সরকারের পতন ঘটবে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইসরায়েলিদের বাঁচাতে ফিলিস্তিনিদের কাছে দুই দেশের আকুতি

আপডেট সময়: ১১:২৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

গাজা যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপ সামলাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকার। বিশেষ করে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির জন্য প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ইসরায়েলি সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুকে খানিক স্বস্তি দিতে হামাসের প্রতি ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাসের কাছে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির সঙ্গে কিছু ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। এদিন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সভায় বক্তৃতাকালে ক্যামেরন এই প্রস্তাবকে ‘উদার’ বলে মন্তব্য করেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রত্যেক ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি না পাচ্ছে ততক্ষণ যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, হামাস এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদী। হামাসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের খুব দ্রুতই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তিনি আশা করেন, হামাস সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবে। গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য কাজ করছে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন গাজায় চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে খলিল আল হাইয়্যার নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসর সফর করছে। স্বাধীনতাকামী দলটি বরাবরই বলে আসছে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তাদের আশঙ্কা ইসরায়েল তার সব বন্দির মুক্তির পর গাজার ওপর আরও নির্মমভাবে হামলা শুরু করবে।

এদিকে কট্টরপন্থি ইসরায়েলি মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে জানান, ইসরায়েলি বন্দিদের বিনিময়ে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা হলে তার সরকারের পতন ঘটবে।