আজ রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ শীর্ষক সভা  Logo বেপরোয়া লুটপাট-চাঁদাবাজি; কালিগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শরিফুলের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী তন্ময় মন্ডলের মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo সাতক্ষীরায় মাদকাসক্ত যুবকের হাতুড়ির আঘাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী নিহত, ঘাতক আটক Logo ভাদ্রের বৃষ্টিতে নাকাল সাতক্ষীরাবাসি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা Logo দেশের ১২ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার Logo চুমকি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় প্রধান আসামীসহ ৬ জন আটক Logo একমাসে ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে : ড. ইউনূস Logo ৫৭ পোশাক কারখানায় ছুটি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ৫৪ Logo ভারতে পাচারের সময় সীমান্তে ২৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ Logo তৌফিক-ই-ইলাহী ৪ দিনের রিমান্ডে
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

ডিভোর্সের পর মেয়ে ফিরলেন বাড়ি, অবাক কাণ্ড বাবার

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ব্যান্ড দল ভাড়া করে বাদ্য বাজিয়ে ডিভোর্সি মেয়েকে ঘরে ফিরিয়ে এনে আলোচিত হয়েছে ভারতের একটি পরিবার। উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এনডিটিভির মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই এলাকায় বিয়ে বাড়ির আয়োজনের মতো ব্যান্ডপার্টি করা হয়। এতে প্রতিবেশীরা প্রথমে ভেবেছিলেন অনিল কুমারের মেয়ে উরভির (৩৬) দ্বিতীয় বিয়ে করছেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন, আসলে উরভির ডিভোর্স হয়েছে। তাকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে বাবা বিয়ের মতোই এক আয়োজন করেছেন।

জানা গেছে, উরভি (৩৬) একজন প্রকৌশলী। রাজধানী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে চাকরি করেন। ২০১৬ সালে এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে এক মেয়ে শিশুর রয়েছে। কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন উরভিকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করছিলেন।

উরভি বলেন, বিয়ের পর স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে থাকতাম। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা টানা আট বছর শারীরিক নির্যাতন, অপমান, খোঁটা দিয়েই আসছে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদালতে আবেদন করি। আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমার পক্ষে রায় দেন।

উরভির বাবা বলেন, বিয়ের সময় মেয়েকে যেভাবে বিদায় দিয়েছি সেভাবে ধুমধাম করে তার ফিরে আসা বরণ করে নিয়েছি। আবার নতুন একটি জীবন শুরু করতে উরভিকে রিফ্রেশমেন্ট দেওয়াই উদ্দেশ্য। অনিল কুমারের দাবি, তিনি সমাজে একটি বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান। তা হলো, তালাকপ্রাপ্ত মেয়েদের প্রতি যেন বিয়ের আগের মতোই পরিবারগুলো সহানুভূতিশীল থাকে। যেন মেয়েদের অবহেলা না করা হয়। এদিকে উরভির মা কুসুমলতাও খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে-নাতনির জন্য পথ চেয়ে বসে আছি। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ শীর্ষক সভা 

ডিভোর্সের পর মেয়ে ফিরলেন বাড়ি, অবাক কাণ্ড বাবার

আপডেট সময়: ১২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ব্যান্ড দল ভাড়া করে বাদ্য বাজিয়ে ডিভোর্সি মেয়েকে ঘরে ফিরিয়ে এনে আলোচিত হয়েছে ভারতের একটি পরিবার। উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এনডিটিভির মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই এলাকায় বিয়ে বাড়ির আয়োজনের মতো ব্যান্ডপার্টি করা হয়। এতে প্রতিবেশীরা প্রথমে ভেবেছিলেন অনিল কুমারের মেয়ে উরভির (৩৬) দ্বিতীয় বিয়ে করছেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন, আসলে উরভির ডিভোর্স হয়েছে। তাকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে বাবা বিয়ের মতোই এক আয়োজন করেছেন।

জানা গেছে, উরভি (৩৬) একজন প্রকৌশলী। রাজধানী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে চাকরি করেন। ২০১৬ সালে এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে এক মেয়ে শিশুর রয়েছে। কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন উরভিকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করছিলেন।

উরভি বলেন, বিয়ের পর স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে থাকতাম। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা টানা আট বছর শারীরিক নির্যাতন, অপমান, খোঁটা দিয়েই আসছে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদালতে আবেদন করি। আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমার পক্ষে রায় দেন।

উরভির বাবা বলেন, বিয়ের সময় মেয়েকে যেভাবে বিদায় দিয়েছি সেভাবে ধুমধাম করে তার ফিরে আসা বরণ করে নিয়েছি। আবার নতুন একটি জীবন শুরু করতে উরভিকে রিফ্রেশমেন্ট দেওয়াই উদ্দেশ্য। অনিল কুমারের দাবি, তিনি সমাজে একটি বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান। তা হলো, তালাকপ্রাপ্ত মেয়েদের প্রতি যেন বিয়ের আগের মতোই পরিবারগুলো সহানুভূতিশীল থাকে। যেন মেয়েদের অবহেলা না করা হয়। এদিকে উরভির মা কুসুমলতাও খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে-নাতনির জন্য পথ চেয়ে বসে আছি। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’