আজ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরা থানায় হামলার চেষ্টা, পুলিশের লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি Logo যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে পিস্তলসহ যুবক আটক Logo মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo সাতক্ষীরায় কোটা বিরোধীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo কোটা বহালে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল Logo সাতক্ষীরায় কোটা আন্দলনকারী ও ছাত্রলীগ মুখোমুখি অবস্থানে Logo বেনা‌পো‌লে ঘোষণা বহির্ভূত ১৫ হাজার ৭৫০ কেজি সালফিউরিক এসিড জব্দ Logo ‘বাবাকে হত্যা করেছি আমাকে গ্রেপ্তার করুন’ Logo সাতক্ষীরায় দুই রোহিঙ্গা নারীসহ মানব পাচারকারী আটক Logo প্রশ্নফাঁসে জড়িত কুমিল্লার সোহেলের বোন শিক্ষা অফিসার, ভাবি শিক্ষক
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01711 211241

পোড়ানোর আগেই নিভে যাওয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গ রিকার্ডো পাওয়েল

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৯:১৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

দুর্দান্ত প্রতিভা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া মাতাতে এসেছিলেন এক ক্যারিবিয়ান তরুণ। বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া হাতেগোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি ছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়েন পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই। তবে ফিরেই পরের ম্যাচে করেন ফিফটি। এরপর নিজের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের টপক্লাস বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে চার-ছয়ের ঝড় তুলে বিপদের মুহূর্তে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে আলোচনায় আসেন। সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড গড়েন। যেটা এখনো পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্টহিটার ব্যাটসম্যান রিকার্ডো পাওয়েলের কথা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও ভয়ডরহীন মানসিকতার কারণে রিকার্ডো পাওয়েলকে একসময় মনে করা হত স্যার ভিভ রিচার্ডসের উত্তরসূরি। কিন্তু ক্লাস, সামর্থ্য কিংবা যোগ্যতায় ভিভের ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। তবে ভিভকে তিনি ছাড়িয়েছিলেন একটা জায়গায়, স্ট্রাইক রেটে! ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে ২০৮৫ রান করা রিকার্ডো পাওয়েলের স্ট্রাইক রেট ৯৬.৬৬! ১০০ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭৫ টি ছক্কা! এখানে জানিয়ে রাখা জরুরি যে, ওয়ানডেতে কমপক্ষে ২০০০ রান করা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাওয়েলের স্ট্রাইকরেটই সর্বোচ্চ!

ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ‘ক্লিন হিটার’ রিকার্ডো পাওয়েল বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ছোট্ট কিন্তু কার্যকর সব ‘ক্যামিও’ ইনিংসের জন্য। ২০০৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানে জেতা ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ধরা হয় পাওয়েলের এরকমই একটি ক্যামিও ইনিংসকে। পাওয়েল সেদিন ১৮ বলে ৪০ রান না করলে লারার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা হয়ত বৃথাই যেত! ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়ানডে অভিষেক হয় পাওয়েলের। ওই বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টের জার্সি। ২০০৪ সালে ইল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট আর ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। পুরো ক্যারিয়ারে পাওয়েল টেস্ট খেলেছে মাত্র ২টি। ৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছে ৫৩ রান। ১০৯ ওয়ানডেতে রান করেছেন ২ হাজার ৮৫। সেঞ্চুরি আছে ১টি আর হাফসেঞ্চুরি ৮টি। যার মধ্যে ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমন প্রতিভা নিয়েও পাওয়েল যেটা করেছেন সেটাকে প্রতিভার অপচয় ছাড়া আর কিছুই বলে না। কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং যথার্থই বলেছেন, ‘প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়!’

পুরো নাম- রিকার্ডো লয়েড পাওয়েল। জন্ম- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সাল। জন্মস্থান- সেন্ট এলিজাবেথ, জ্যামাইকা। রাশি: ধনু রাশি। প্রিয় খেলা: ক্রিকেট। প্রিয় খাবার: সামুাদ্রক মাছ, মাংসের ঝোল। প্রিয় পানীয়: বিয়ার। প্রিয় রং: কালো। প্রিয় ক্রিকেটার: ভিভ রিচার্ডস। প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিস ক্রিকেট দল। প্রিয় সতীর্থ: ব্রায়ান লারা। প্রিয় গাড়ি: অডি। প্রিয় স্টেডিয়াম: অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড। প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা। প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাতক্ষীরা থানায় হামলার চেষ্টা, পুলিশের লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি

পোড়ানোর আগেই নিভে যাওয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গ রিকার্ডো পাওয়েল

আপডেট সময়: ০৯:১৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

দুর্দান্ত প্রতিভা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া মাতাতে এসেছিলেন এক ক্যারিবিয়ান তরুণ। বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া হাতেগোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি ছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়েন পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই। তবে ফিরেই পরের ম্যাচে করেন ফিফটি। এরপর নিজের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের টপক্লাস বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে চার-ছয়ের ঝড় তুলে বিপদের মুহূর্তে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে আলোচনায় আসেন। সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড গড়েন। যেটা এখনো পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্টহিটার ব্যাটসম্যান রিকার্ডো পাওয়েলের কথা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও ভয়ডরহীন মানসিকতার কারণে রিকার্ডো পাওয়েলকে একসময় মনে করা হত স্যার ভিভ রিচার্ডসের উত্তরসূরি। কিন্তু ক্লাস, সামর্থ্য কিংবা যোগ্যতায় ভিভের ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। তবে ভিভকে তিনি ছাড়িয়েছিলেন একটা জায়গায়, স্ট্রাইক রেটে! ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে ২০৮৫ রান করা রিকার্ডো পাওয়েলের স্ট্রাইক রেট ৯৬.৬৬! ১০০ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭৫ টি ছক্কা! এখানে জানিয়ে রাখা জরুরি যে, ওয়ানডেতে কমপক্ষে ২০০০ রান করা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাওয়েলের স্ট্রাইকরেটই সর্বোচ্চ!

ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ‘ক্লিন হিটার’ রিকার্ডো পাওয়েল বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ছোট্ট কিন্তু কার্যকর সব ‘ক্যামিও’ ইনিংসের জন্য। ২০০৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানে জেতা ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ধরা হয় পাওয়েলের এরকমই একটি ক্যামিও ইনিংসকে। পাওয়েল সেদিন ১৮ বলে ৪০ রান না করলে লারার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা হয়ত বৃথাই যেত! ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়ানডে অভিষেক হয় পাওয়েলের। ওই বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টের জার্সি। ২০০৪ সালে ইল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট আর ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। পুরো ক্যারিয়ারে পাওয়েল টেস্ট খেলেছে মাত্র ২টি। ৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছে ৫৩ রান। ১০৯ ওয়ানডেতে রান করেছেন ২ হাজার ৮৫। সেঞ্চুরি আছে ১টি আর হাফসেঞ্চুরি ৮টি। যার মধ্যে ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমন প্রতিভা নিয়েও পাওয়েল যেটা করেছেন সেটাকে প্রতিভার অপচয় ছাড়া আর কিছুই বলে না। কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং যথার্থই বলেছেন, ‘প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়!’

পুরো নাম- রিকার্ডো লয়েড পাওয়েল। জন্ম- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সাল। জন্মস্থান- সেন্ট এলিজাবেথ, জ্যামাইকা। রাশি: ধনু রাশি। প্রিয় খেলা: ক্রিকেট। প্রিয় খাবার: সামুাদ্রক মাছ, মাংসের ঝোল। প্রিয় পানীয়: বিয়ার। প্রিয় রং: কালো। প্রিয় ক্রিকেটার: ভিভ রিচার্ডস। প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিস ক্রিকেট দল। প্রিয় সতীর্থ: ব্রায়ান লারা। প্রিয় গাড়ি: অডি। প্রিয় স্টেডিয়াম: অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড। প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা। প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।