গত মাসেই দুই বছর পেরিয়ে তিন বছরে গড়িয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ। এত দিন পার হলেও এই যুদ্ধ শেষের দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই। এমন পরিস্থিতিতে শান্তি আলোচনায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়ে গেছে বলেই জানালেন ইউক্রেনের নিযুক্ত চীনের বিশেষ দূত লি হুই। খবর আলজাজিরার। ইউরোপের এই সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখে আসার চেষ্টা করছে চীন। ইতিমধ্যে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে ১২ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। পাশাপাশি দুপক্ষের সঙ্গে অনেকবার আলোচনা করেছে তারা।
তবে এই যুদ্ধে চীন নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করলেও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করায় পশ্চিমাদের সমালোচনায় পড়েছে দেশটি। এমনকি ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পরও মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে বেইজিং।সবশেষ ইউরোপ সফর শেষে বেইজিংয়ে গণমাধ্যম ও কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে লি বলেন, সংকট সমাধানে কিয়েভ ও মস্কো এখানো অনেক দূরে আছে। তবে দুপক্ষই এটা স্বীকার করে যে আলোচনাই এই সংকট সমাধানের সেরা উপায়। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা সবাই একমত হয়েছে যে এই যুদ্ধ বন্দুকের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আবার সব পক্ষই বর্তমান পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি বিষয়টির কথাও মানে। পরিস্থিতি শান্ত করতে তারা সবাই চীনা আহ্বানের সঙ্গে একমত। এই সংকটে চীন আরও গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে বলেই তাদের প্রত্যাশা।