আজ রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01711 211241

হারের দায় ব্যাটারদের দিলেন হৃদয়

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১১:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হওয়ার পথে আলাপে তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘রান করতে পারলে সব ভালো, রান না পেলে সব খারাপ।’ অথচ গত শুক্রবার তাওহিদের সঙ্গে সৌম্য সরকারও রান পেলেন। কিন্তু ভালো আর হলো কোথায়! পরাজিত দলের সদস্য হয়েই থাকতে হলো তাওহিদ, সৌম্যকে। তাওহিদ তবু ১০২ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দায় এড়ালেন, কিন্তু ব্যর্থদের সঙ্গে হারের দায় চাপল সৌম্যর কাঁধেও। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই ধরনের উইকেটে সৌম্য এবং আমার আরো লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত ছিল।’ নিউজিল্যান্ড সফরে ১৬৯ রানের ইনিংসের পর জাতীয় দলের জার্সিতে রান পাচ্ছিলেন না সৌম্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন নেটে কঠোর পরিশ্রম করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। গত শুক্রবার ম্যাচে তার ফল পান। ৬৬ বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। তাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামের রান বন্যার উইকেটে এই রান আটকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। যতই টসের সময় নাজমুল বলুক, ২৮০ থেকে ৩০০ রান হলে লড়াই করা সম্ভব। ম্যাচ শেষে তাওহিদ বলেন, ‘উইকেটটা যেমন ছিল, আমার মনে হয় ২০ থেকে ৩০ রান কম হয়েছে।’ এই কম রানের জন্য আবার কাঠগড়ায় উঠলেন নাজমুল-সৌম্য, ‘আমরা সেট হয়ে যদি আরেকটু ক্যারি করতাম, যারা সেট হয়েছিলাম। তাহলে হয়তো বা দৃশ্যটা ভিন্ন হতো।’ গত শুক্রবার ৩ উইকেটের হারে মুশফিকুর রহিম ২৫, তানজিম হাসান ১৮, মেহেদী হাসান মিরাজ ১২ রান করে আউট হন। কিন্তু আবার ব্যর্থ লিটন দাস। আগের ম্যাচের মতো গত শুক্রবারও শূন্য রানে ফেরেন এই ওপেনার। মাহমুদ উল্লাহ গত শুক্রবার রীতিমতো পাগলামি করলেন। নেমেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন। তিনিও ফেরেন রান না করে। রানের খাতা খুলতে না পারলেও এই দুজনকে আলোচনার বাইরে রাখতে চাইলেন তাওহিদ, ‘আসলে প্রতিদিন সবাই খেলবে না। হ্যাঁ, তারা থাকলে খেলা অন্য রকম হতো।’ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জয়ী দলের গড় রান ২৮৬। সেই অর্থে বাংলাদেশের পুঁজি একেবারে খারাপও ছিল না। নতুন বলে দারুণ শুরুও করেছিলেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কার ৪৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালাঙ্কা প্রতিরোধ গড়েন। ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে শিশিরের বাড়তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। ওখানেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। তাওহিদও স্বীকার করে নিলেন সেটি, ‘ওরা অনেক ভালো জুটি গড়েছে। কৃতিত্ব ওদেরও দিতে হবে।’ তবে তারা পারলেও স্বাগতিক হয়েও নিজেরা কেন পারলেন না, সে জন্য দায় দিলেন নিজেদের কাঁধে, ‘আমরা সেট হয়েছি, যদি ইনিংসটা আরো টানতে পারতাম। ওপর থেকে যদি সৌম্য ভাই বা আমি যদি আরো বড় করতে পারতাম। আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলছিলাম যে আজকে খেলতে হবে।’

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হারের দায় ব্যাটারদের দিলেন হৃদয়

আপডেট সময়: ১১:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হওয়ার পথে আলাপে তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘রান করতে পারলে সব ভালো, রান না পেলে সব খারাপ।’ অথচ গত শুক্রবার তাওহিদের সঙ্গে সৌম্য সরকারও রান পেলেন। কিন্তু ভালো আর হলো কোথায়! পরাজিত দলের সদস্য হয়েই থাকতে হলো তাওহিদ, সৌম্যকে। তাওহিদ তবু ১০২ বলে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দায় এড়ালেন, কিন্তু ব্যর্থদের সঙ্গে হারের দায় চাপল সৌম্যর কাঁধেও। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই ধরনের উইকেটে সৌম্য এবং আমার আরো লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত ছিল।’ নিউজিল্যান্ড সফরে ১৬৯ রানের ইনিংসের পর জাতীয় দলের জার্সিতে রান পাচ্ছিলেন না সৌম্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন নেটে কঠোর পরিশ্রম করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। গত শুক্রবার ম্যাচে তার ফল পান। ৬৬ বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। তাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামের রান বন্যার উইকেটে এই রান আটকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। যতই টসের সময় নাজমুল বলুক, ২৮০ থেকে ৩০০ রান হলে লড়াই করা সম্ভব। ম্যাচ শেষে তাওহিদ বলেন, ‘উইকেটটা যেমন ছিল, আমার মনে হয় ২০ থেকে ৩০ রান কম হয়েছে।’ এই কম রানের জন্য আবার কাঠগড়ায় উঠলেন নাজমুল-সৌম্য, ‘আমরা সেট হয়ে যদি আরেকটু ক্যারি করতাম, যারা সেট হয়েছিলাম। তাহলে হয়তো বা দৃশ্যটা ভিন্ন হতো।’ গত শুক্রবার ৩ উইকেটের হারে মুশফিকুর রহিম ২৫, তানজিম হাসান ১৮, মেহেদী হাসান মিরাজ ১২ রান করে আউট হন। কিন্তু আবার ব্যর্থ লিটন দাস। আগের ম্যাচের মতো গত শুক্রবারও শূন্য রানে ফেরেন এই ওপেনার। মাহমুদ উল্লাহ গত শুক্রবার রীতিমতো পাগলামি করলেন। নেমেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন। তিনিও ফেরেন রান না করে। রানের খাতা খুলতে না পারলেও এই দুজনকে আলোচনার বাইরে রাখতে চাইলেন তাওহিদ, ‘আসলে প্রতিদিন সবাই খেলবে না। হ্যাঁ, তারা থাকলে খেলা অন্য রকম হতো।’ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জয়ী দলের গড় রান ২৮৬। সেই অর্থে বাংলাদেশের পুঁজি একেবারে খারাপও ছিল না। নতুন বলে দারুণ শুরুও করেছিলেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কার ৪৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালাঙ্কা প্রতিরোধ গড়েন। ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে শিশিরের বাড়তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। ওখানেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। তাওহিদও স্বীকার করে নিলেন সেটি, ‘ওরা অনেক ভালো জুটি গড়েছে। কৃতিত্ব ওদেরও দিতে হবে।’ তবে তারা পারলেও স্বাগতিক হয়েও নিজেরা কেন পারলেন না, সে জন্য দায় দিলেন নিজেদের কাঁধে, ‘আমরা সেট হয়েছি, যদি ইনিংসটা আরো টানতে পারতাম। ওপর থেকে যদি সৌম্য ভাই বা আমি যদি আরো বড় করতে পারতাম। আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলছিলাম যে আজকে খেলতে হবে।’