আজ শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01711 211241
প্রাথমিক বিদ্যালয়

৫০-এর কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৬:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর কম হলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, রাঙামাটির বিলাইছড়ির একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছর ধরেই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা একীভূত করব না। কারণ ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আসে। সুতরাং এসব ভেবে আমরা বিবেচনায় নেব। আমরা একেবারে ঢালাওভাবে সিদ্ধান্ত নেব না। তিনি বলেন, যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা একীভূত করে দেব, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। ফরিদ আহাম্মদ আরও জানান নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাপসের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। থাকছে না প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারে এ জন্য এনসিটিবি অ্যাপস করেছে।

সচিব বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। সে কারণে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হলো একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করা। এটি হলো মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন। তিনি বলেন, মূল কথা হলো প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এসব আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী থাকবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। নতুন করে এই শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। এরই আলোকে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাস্তবায়ন হবে নতুন শিক্ষাক্রম।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাথমিক বিদ্যালয়

৫০-এর কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে

আপডেট সময়: ০৬:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর কম হলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, রাঙামাটির বিলাইছড়ির একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছর ধরেই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা একীভূত করব না। কারণ ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আসে। সুতরাং এসব ভেবে আমরা বিবেচনায় নেব। আমরা একেবারে ঢালাওভাবে সিদ্ধান্ত নেব না। তিনি বলেন, যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা একীভূত করে দেব, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। ফরিদ আহাম্মদ আরও জানান নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাপসের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। থাকছে না প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারে এ জন্য এনসিটিবি অ্যাপস করেছে।

সচিব বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। সে কারণে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হলো একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করা। এটি হলো মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন। তিনি বলেন, মূল কথা হলো প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এসব আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী থাকবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। নতুন করে এই শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। এরই আলোকে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাস্তবায়ন হবে নতুন শিক্ষাক্রম।