ভারতে শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। শনিবার (০১ জুন) সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন শেষ হয়। নির্বাচনের পরপরই বুথফেরত ফলাফল প্রকাশ শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা। এসব সমীক্ষায় বলেছে, পশ্চিমবঙ্গে এবার তৃণমূল নয়, বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি। তবে বুথফেরত এ সমীক্ষাকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমীক্ষাকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভাঁওতা এবং বিরোধীদের মনোবল ভাঙতে বিজেপির চিত্রনাট্য বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। টিভি নাইন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, আমাদের রাজ্য নিয়ে যেটা দেখাচ্ছে, তাকে আমি বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না। এটা একেবারে ভেগ, একেবারে ফেক। এসময় তৃণমূল কর্মীদের শক্ত থাকার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপরদিকে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বুথফেরত সমীক্ষার চেয়েও ৩০টির বেশি আসনে জয় পাবে তার দল। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় দল হতে চলেছে বিজেপি— শনিবার সপ্তম দফার ভোট শেষে একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার তাদের সমীক্ষায় বলেছে, এবার বিজেপি ২৩ থেকে ২৭টি আসন পেতে পারে। তৃণমূল ১৩ থেকে ১৭টি এবং বাম-কংগ্রেস জোট ১ থেকে ৩টি আসন পেতে পারে। সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম কী করে বলে দিচ্ছে, ওই আসনে ও জিতবে, অমুক আসনে কে জিতবে… কত টাকার বিনিময়ে? আমি এই সংবাদমাধ্যমের হিসাব মানি না। কর্মীদের বলব শক্ত থাকতে। গণনা ভালো করে করতে। যা দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম, তার দ্বিগুণ পাব। প্রত্যেকটা আসনে আমরা জিতব। তবে, রাজ্যে তৃণমূল ঠিক কতগুলো আসন পাবে, তা নিয়ে অবশ্য কোনো সংখ্যা জানাননি মমতা। সেই প্রশ্নে তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমি কোনো নম্বরে যাব না। কিন্তু একটা কথা আপনাদের বলতে পারি, আমরা যে ভাবে মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করেছি, লোকের চোখ দেখেছি, তাতে আমার কখনো মনে হয়নি, মানুষ আমাদের ভোট দেবেন না।
বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে মমতার দল কি বাইরে থেকে সমর্থন করবে না কি সরকারে অংশ নেবে, এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমি আগে ফল দেখব। ফল দেখে হিসাব করব। আমাদেরও একটা অঙ্ক আছে। মমতা বলেন, আমরা চেষ্টা করব, আরও আঞ্চলিক দল যেন আমাদের সঙ্গে আসে। আর এর মধ্যে মোদিজিকে যারা জিতিয়ে দিচ্ছেন, তাদেরও বলে দিই, এবার কিন্তু অত সহজ অঙ্কে, অত সহজে পার পাওয়া যাবে না। এই সরকার আদৌ কত দিন চলবে, সন্দেহ আছে। ইন্ডিয়ার শরিক ডিএমকে, আপ, এসপি লোকসভায় ভালো ফল করবে বলেও আশাবাদী মমতা।