আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরা ৩ আসনে ডাঃ শহিদুল ইসলামের মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ Logo রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সেনা সদস্য ইয়াছিন আরাফাত বাপ্পির Logo দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে : ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার Logo জলাবদ্ধতা নিরসনে শ্যামনগরে আদি যমুনার প্রবাহ পুনরুদ্ধারে বৃহৎ ব্রিজ নির্মাণের দাবি Logo খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকার Logo চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি Logo সাতক্ষীরা সদর ২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ’র গণসংযোগ Logo সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা Logo দীর্ঘ ১৬ বছর পর সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় নিয়োগ সম্পন্ন Logo সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট নির্বাচনে তিন প্যানেলের লড়াই
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম 01711-211241, 01971 211241

গাজায় ত্রাণের বন্যা বইয়ে দেওয়া হবে : ইসরায়েল

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৩:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে

বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় মানবিক ত্রাণের ‘বন্যা’ বইয়ে দেবে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এমনটাই জানিয়েছে দেশটি। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, গাজায় কী পরিমাণ ত্রাণ যাবে তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি তারা। ত্রাণ সংস্থাগুলোই সরবরাহ পাঠাতে দেরি করছে বলে উল্টো অভিযোগ করেছে তারা। এমন দাবি করলেও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের চাপের মুখে পড়েছে তারা। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাজায় ত্রাণের বন্যা বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, মানবিক সহায়তা দিয়ে প্লাবিত করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিখছি, উন্নতি করছি এবং বিভিন্ন পরিবর্তন করছি, যাতে একটি বৈচিত্র্য তৈরি করতে পারি।’ যুদ্ধের পর থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাফাহ ক্রসিংও নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি সেনারা। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় অবিরাম হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, এ ছাড়া ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ প্রকট। এই অঞ্চলে অনাহারে একের পর এক নিরীহ শিশুরা মারা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, অন্তত ছয়টি ত্রাণবাহী লরি নিরাপত্তা বেষ্টনীর ৯৬তম গেট দিয়ে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরে প্রবেশ করেছে। গাজার এই অংশটিতেই ক্ষুধার সংকট সবচেয়ে তীব্র। হ্যাগারি আরো জানান, এ ধরনের আরো ত্রাণবহর যাবে এবং অন্য পয়েন্টগুলো দিয়ে আরো সরবরাহ প্রবেশ করবে, পাশাপাশি বিমান থেকে ত্রাণের প্যাকেট ফেলা ও সাগরপথে জাহাজভর্তি ত্রাণ আসাও চলতে থাকবে। এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম নতুন একটি স্থলপথ ব্যবহার করে উত্তর গাজায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গাজা সীমান্ত বরাবর একটি ইসরায়েলি সামরিক রাস্তা ব্যবহার করে এগোচ্ছে ত্রাণবহর। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) ৬টি ট্রাক গাজা সীমান্ত বেড়ার একটি গেট অতিক্রম করেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার এই নতুন পথে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে ইসরায়েল। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়ক জেমি ম্যাকগোল্ডারিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ডাব্লিউএফপি ত্রাণবহর গাজা সীমান্ত বরাবর চলে যাওয়া সামরিক রাস্তা ধরে গাজার উত্তরে এগিয়েছে। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ২৫ হাজার মানুষের জন্য যথেষ্ট খাবার গাজা সিটিতে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাব্লিউএফপির মুখপাত্র শাজা মঘরাবি। মঘরাবি বলেন, ‘আমরা সরবরাহ বাড়ানোর আশা করছি। আমাদের বিশেষ করে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করা প্রয়োজন। আমাদের সরাসরি গাজার উত্তরে প্রবেশপথ থাকা প্রয়োজন।’ সূত্র : বিবিসি

ট্যাগস:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

লেখকের তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ৩ আসনে ডাঃ শহিদুল ইসলামের মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

গাজায় ত্রাণের বন্যা বইয়ে দেওয়া হবে : ইসরায়েল

আপডেট সময়: ০৩:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় মানবিক ত্রাণের ‘বন্যা’ বইয়ে দেবে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এমনটাই জানিয়েছে দেশটি। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, গাজায় কী পরিমাণ ত্রাণ যাবে তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি তারা। ত্রাণ সংস্থাগুলোই সরবরাহ পাঠাতে দেরি করছে বলে উল্টো অভিযোগ করেছে তারা। এমন দাবি করলেও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের চাপের মুখে পড়েছে তারা। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাজায় ত্রাণের বন্যা বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, মানবিক সহায়তা দিয়ে প্লাবিত করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিখছি, উন্নতি করছি এবং বিভিন্ন পরিবর্তন করছি, যাতে একটি বৈচিত্র্য তৈরি করতে পারি।’ যুদ্ধের পর থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাফাহ ক্রসিংও নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি সেনারা। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় অবিরাম হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, এ ছাড়া ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ প্রকট। এই অঞ্চলে অনাহারে একের পর এক নিরীহ শিশুরা মারা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, অন্তত ছয়টি ত্রাণবাহী লরি নিরাপত্তা বেষ্টনীর ৯৬তম গেট দিয়ে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরে প্রবেশ করেছে। গাজার এই অংশটিতেই ক্ষুধার সংকট সবচেয়ে তীব্র। হ্যাগারি আরো জানান, এ ধরনের আরো ত্রাণবহর যাবে এবং অন্য পয়েন্টগুলো দিয়ে আরো সরবরাহ প্রবেশ করবে, পাশাপাশি বিমান থেকে ত্রাণের প্যাকেট ফেলা ও সাগরপথে জাহাজভর্তি ত্রাণ আসাও চলতে থাকবে। এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম নতুন একটি স্থলপথ ব্যবহার করে উত্তর গাজায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গাজা সীমান্ত বরাবর একটি ইসরায়েলি সামরিক রাস্তা ব্যবহার করে এগোচ্ছে ত্রাণবহর। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) ৬টি ট্রাক গাজা সীমান্ত বেড়ার একটি গেট অতিক্রম করেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার এই নতুন পথে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে ইসরায়েল। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়ক জেমি ম্যাকগোল্ডারিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ডাব্লিউএফপি ত্রাণবহর গাজা সীমান্ত বরাবর চলে যাওয়া সামরিক রাস্তা ধরে গাজার উত্তরে এগিয়েছে। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ২৫ হাজার মানুষের জন্য যথেষ্ট খাবার গাজা সিটিতে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাব্লিউএফপির মুখপাত্র শাজা মঘরাবি। মঘরাবি বলেন, ‘আমরা সরবরাহ বাড়ানোর আশা করছি। আমাদের বিশেষ করে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজার উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করা প্রয়োজন। আমাদের সরাসরি গাজার উত্তরে প্রবেশপথ থাকা প্রয়োজন।’ সূত্র : বিবিসি