আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি Logo অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২ Logo সাতক্ষীরায় সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনা, মাছুরা ও আফঈদাকে গণসংবর্ধনা Logo ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ দিনে সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি Logo জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন Logo জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন Logo সাতক্ষীরায় স্বর্ণের গহনাসহ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার Logo পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত Logo গণসচেতনতা সৃষ্টি ও সততার চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় মতবিনিময়
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

মুশতাক-তিশার প্রতি আদালতের নতুন নির্দেশনা

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০১:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতিকে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন ধর্ষণ মামলা থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। এজন্য আদালতে হাজির হন এই আলোচিত দম্পতি। মামলার শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নারাজি বিষয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, আসামি মুশতাক আহমেদ বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। কাপল হিসেবেও তারা সমাজে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। সমাজে দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা সফল কাপল; যা সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খারাপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। অনেকেই তাকে সুগার ড্যাডি বলে আখ্যায়িত করেন। অলরেডি বিভিন্ন মিডিয়াতেও বিষয়টি খারাপ নজির সৃষ্টি হয়েছে।

আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে বিয়ে করেছেন অভিযোগ করেন ওমর ফারুক ফারুকী। সমাজে যাতে এই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই আইনজীবী। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার এর বিরোধিতা করে বলেন, বাদীকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়েছেন। আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। আসামিরা বিভিন্ন মিডিয়াতে ভিডিও দেয়ায় বন্ধ করেছেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, ‘মৌখিকভাবে বলা হচ্ছে, এরপর যদি বাদীকে কোনও হুমকি ধামকি দেয়া হয়, আপনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন না দেখানো হয়, আপনারা সফল কাপল। সমাজের কেউ যেন এর দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সেই ধরনের কোনও ভিডিও যেন দেখা না যায়।’ তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘স্যার আপনার নির্দেশ অনুযায়ী কোনও প্রকার ভিডিওবার্তা আসামিরা দেননি। এমনকি টিকটকও করেন না তারা।’ তখন বিচারক বলেন, টিকটক করলে কোনও সমস্যা নেই। সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ে, এমন ভিডিও না করলেই হবে।

বিচারক আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। জানা যায়, গত বছর ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মুশতাক-তিশার প্রতি আদালতের নতুন নির্দেশনা

আপডেট সময়: ০১:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতিকে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন ধর্ষণ মামলা থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। এজন্য আদালতে হাজির হন এই আলোচিত দম্পতি। মামলার শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নারাজি বিষয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, আসামি মুশতাক আহমেদ বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। কাপল হিসেবেও তারা সমাজে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। সমাজে দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা সফল কাপল; যা সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খারাপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। অনেকেই তাকে সুগার ড্যাডি বলে আখ্যায়িত করেন। অলরেডি বিভিন্ন মিডিয়াতেও বিষয়টি খারাপ নজির সৃষ্টি হয়েছে।

আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে বিয়ে করেছেন অভিযোগ করেন ওমর ফারুক ফারুকী। সমাজে যাতে এই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই আইনজীবী। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার এর বিরোধিতা করে বলেন, বাদীকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়েছেন। আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। আসামিরা বিভিন্ন মিডিয়াতে ভিডিও দেয়ায় বন্ধ করেছেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, ‘মৌখিকভাবে বলা হচ্ছে, এরপর যদি বাদীকে কোনও হুমকি ধামকি দেয়া হয়, আপনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন না দেখানো হয়, আপনারা সফল কাপল। সমাজের কেউ যেন এর দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সেই ধরনের কোনও ভিডিও যেন দেখা না যায়।’ তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘স্যার আপনার নির্দেশ অনুযায়ী কোনও প্রকার ভিডিওবার্তা আসামিরা দেননি। এমনকি টিকটকও করেন না তারা।’ তখন বিচারক বলেন, টিকটক করলে কোনও সমস্যা নেই। সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ে, এমন ভিডিও না করলেই হবে।

বিচারক আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। জানা যায়, গত বছর ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।