আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার ফিলিস্তিনের দাবিকে ঝুলিয়ে রাখল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বলে জানান সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। শুক্রবার (১৭ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার বার্ষিক কংগ্রেনের সংস্থাটির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) সংযুক্ত থাকার যুক্তি উপস্থাপন করে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। যা ফিফার আইনের লঙ্ঘন বলেও জানানো হয়। ফিফার সদস্যভুক্ত ২১১ দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে পিএফএ সভাপতি জিব্রিল রাজউব বলেন, ‘আমি আপনাকে ইতিহাসের ডানদিকে দাঁড়াতে বলছি. এখন না হলে, কখন? ফিফা ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিষয়ে উদাসীন হতে পারে না।’
এ সময় ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেন, ‘পিএফএর তিনটি অনুরোধ বিশ্লেষণ করতে এবং আইনি জটিলতাগুলো পর্যালোচনার ফিফার আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হবে।’ পিএফএ দাবিতে জানায়, ‘গাজার সমস্ত ফুটবল অবকাঠামো হয় ধ্বংস হয়ে গেছে, বা আল-ইয়ারমুকের ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামসহ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ এবং বলেছে যে, এটি আলজেরিয়া, ইরাক, জর্ডান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের ফেডারেশনগুলোর প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন করেছে। এ জন্য আগামীয় ২৫ জুলাই কাউন্সিল মিটিং আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে ইসরায়েল নিষেধাজ্ঞার আহ্বানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে অভিহিত করেছে।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা কংগ্রেস শুরু আগে ফিলিস্তিনের প্রস্তাবের প্রতি নিজের সমর্থন জানান। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিত ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা দাবি তুলেছিল ইরান। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফিফার কাছে এ দাবি জানায় ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশের ফুটবল সংস্থা, ফিফার কাছে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চিঠি দেয়।