আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

শ্যামনগরে ধ্বংসের মুখে মৃৎশিল্প

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৯:১৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নুরনগর ইউনিয়নের প্রবীন ব্যবসায়ী রাধা পাল,কানু পালসহ অনেকে বলেন, মাটির তৈরী বাসন কোসন এখন খুব একটা চলেনা। বংশ পরম্পরায় বাপ দাদার ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা তো দূরের কথা দু বেলা নুন ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই বাপ দাদার ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। রোববার সকালে রাধা পালের কারখানায় উপস্থিত হলে জানা যায়, একসময় মাটির তৈরী কলস, হাড়ি, মালসা, ঢাকনা, নানদা ভালোই চলত। কিন্তু প¬াষ্টিক সামগ্রী ও মেলামাইন বাজারে আসায় এগুলোর কদর কমে গেছে। গৃহিনী মমতাজ বেগম বলেন প¬াষ্টিক ও ম্যালামাইন সামগ্রী বাজারে আসার পর মাটির বাসন পত্র এখন আর ব্যবহার করি না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মাটির বাসন কোসন কেউ কেনে না। এ মৃৎশিল্প ব্যবসা এখন ধ্বংসের মুখে পরিনত হয়েছে। তারা আরো বলেন আগে বাসন কোসন তৈরীতে মাটি কেনার প্রয়োজন হত না। এখন এক ভ্যান মাটি ২/৩ শত টাকায় কিনতে হয়। মাটির তৈরী উৎপাদিত পন্য বিক্রি না হওয়ায় আস্তে আস্তে সবাই বিমুখ হয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শ্যামনগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নুরনগরের মৃৎশিল্প। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহম্মেদ বলেন, সরকারের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে গ্রাম বাংলার এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। ফলে এ অঞ্চলে মৃৎশিল্পের উপর নির্ভরশীল কয়েক শত পরিবারের উপরে নেমে আসবে অবর্ননীয় দুঃখ দুর্দশা। প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

শ্যামনগরে ধ্বংসের মুখে মৃৎশিল্প

আপডেট সময়: ০৯:১৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নুরনগর ইউনিয়নের প্রবীন ব্যবসায়ী রাধা পাল,কানু পালসহ অনেকে বলেন, মাটির তৈরী বাসন কোসন এখন খুব একটা চলেনা। বংশ পরম্পরায় বাপ দাদার ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা তো দূরের কথা দু বেলা নুন ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই বাপ দাদার ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। রোববার সকালে রাধা পালের কারখানায় উপস্থিত হলে জানা যায়, একসময় মাটির তৈরী কলস, হাড়ি, মালসা, ঢাকনা, নানদা ভালোই চলত। কিন্তু প¬াষ্টিক সামগ্রী ও মেলামাইন বাজারে আসায় এগুলোর কদর কমে গেছে। গৃহিনী মমতাজ বেগম বলেন প¬াষ্টিক ও ম্যালামাইন সামগ্রী বাজারে আসার পর মাটির বাসন পত্র এখন আর ব্যবহার করি না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মাটির বাসন কোসন কেউ কেনে না। এ মৃৎশিল্প ব্যবসা এখন ধ্বংসের মুখে পরিনত হয়েছে। তারা আরো বলেন আগে বাসন কোসন তৈরীতে মাটি কেনার প্রয়োজন হত না। এখন এক ভ্যান মাটি ২/৩ শত টাকায় কিনতে হয়। মাটির তৈরী উৎপাদিত পন্য বিক্রি না হওয়ায় আস্তে আস্তে সবাই বিমুখ হয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শ্যামনগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নুরনগরের মৃৎশিল্প। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহম্মেদ বলেন, সরকারের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে গ্রাম বাংলার এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। ফলে এ অঞ্চলে মৃৎশিল্পের উপর নির্ভরশীল কয়েক শত পরিবারের উপরে নেমে আসবে অবর্ননীয় দুঃখ দুর্দশা। প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।