ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে। বাউকোলা গ্রামের রমজান সরদারের ছেলে আব্দুল আলীম (কাঠ মিস্ত্রী) ও প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামের যোগসূত্র । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে এ গনমাধ্যমকে কর্মিকে বলেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে আব্দুল আলীম, কুশখালী ইউনিয়নের বাউকোলা গ্রামের পশ্চিম মাঠের রাস্তার ৯ টি বড় বড় বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে নিয়ে ফার্নিচার তৈরি করে বিক্রি করেছেন।
এছাড়া বাউকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরিশ গাছের বড় বড় ডাল কেটে নিয়েছেন । বিষয়টি প্রশাসন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদারকিতে যান কুশখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মহাসিন। তিনি বলেন আমি উপরের নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত করে সদর এ্যাসিল্যান্ড স্যারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল আলিম বলেন রাস্তার পাশের মরাগাছ অনেকেই কেটে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা। তবে বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ হাসান আমাকে ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরিশ গাছ কাটার প্রসঙ্গে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন এটিতো মিটে গেছে। কারা মিটিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন যারা অভিযোগ দিছিলো এবং এলাকাবাসী মিলে মিটিয়ে ফেলেছে।
প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম আরো বলেন স্কুল বন্ধ থাকাকালিন স্কুলের এ্যাডহক কমিটির দাতা সদস্য আব্দুল আলিম গাছ কেটে নিয়ে একটি রাস্তা সংস্কার করেছেন এতে অসুবিধা কোথায় এটাতো উন্নয়নমূলক কাজ। তবে কোনো রেজুলেশন ছাড়া বা সরকারের অনুমতি না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় উক্ত গাছ কর্তন করেছেন বলে একাধিক সুত্রে জানাযায়, প্রধান শিক্ষক বলেন উপর মহলের কাউকেই জানানো হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃস্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ এ প্রতিবেদককে বলেন আমি অভিযোগ পেয়ে তদন্তে পাঠিয়েছি, তদন্ত রিপোর্ট আসলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।