সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দাফনের চার মাস পর কবর থেকে রাবেয়া সুলতানা মায়া (২৩) নামের এ গৃহবধুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রাম হতে ওই লাশ উত্তোলন করা হয়।
দুই সন্তানের মা রাবেয়া একই গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সামাদের মেয়ে। এসময় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় গত ১০ আগষ্ট উপজেলার সোনাখালী গ্রামের স্বামীর বাড়িতে রাবেয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এসময় মৃতদেহ ফেলে স্বামী রাশিদুল ইসলাম পালিয়ে গেলে পরিবারের সদস্যরা থানায় যেয়ে কাউকে না পেয়ে বাবার বাড়িতে রাবেয়াকে দাফন করে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর হত্যা করে রাবেয়ার শশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার তথ্য পায় তার পরিবার। একপর্যায়ে গত ১ সেপ্টেম্বর রাবেয়ার মা ফজিলা বেগম বাদি হয়ে স্বামী রাশিদুল ও ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১২ সেপ্টম্বর শ্যামনগর থানা মামলা গ্রহণের পর ময়না তদন্তের জন্য আদালতের দারস্থ হলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর লাশ উত্তোলনের অনুমতি মেলে। মামালার বাদি ফজিলা বেগম জানান, তার মাদকাসক্ত জামাই পিটিয়ে মেয়েকে মেরে ফেলে। তবে সেই সময়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় থানা পুলিশ সক্রিয় না থাকায় তারা উপায়ন্তর না দেখে মৃতদেহ দাফণ করেছিল। ঘটনার পর থেকে তার জামাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, লাশ উত্তোলনের পর ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মত মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরবর্তী যাবতীয় প্রক্রিয়া যথাযথ আইন মেনে করা হবে।