আজ শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের শাশুড়ির মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক জ্ঞাপন Logo সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামালার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার Logo ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট Logo চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির মতবিনিময় সভা Logo টাস্কফোর্সের অভিযানে তিন টন রসুন জব্দ, জরিমানা ১ লাখ Logo সাতক্ষীরা পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত Logo সীমান্তে বিজিবির পৃথক অভিযান, সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার পণ্য জব্দ Logo শ্যামনগরে চার মাস পর কবর থেকে গৃহবধুর মরদেহ উত্তোলন
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন আসিফ নজরুল

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৪:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

২০১৯ সাল থেকে আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে সুশীল সমাজ কিংবা শিক্ষকদের মধ্যে যাকে ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি তাঁদের পাশে সবসময় পেয়েছিলেন তিনি হলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। কয়েকদিন আগেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আসিফ নজরুলকে নিয়ে বলেছিলেন,এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন, আগ্রাসনবিরোধী কর্মসূচি থেকে যখন জেলে গেলাম, সেসময়টায় যাকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছিলাম ওনি আমাদের আসিফ নজরুল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু মূহর্ত বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হতে দেখা য়ায়। এমন একটা দেশে বসবাস করতেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন,আমার দুঃখ লাগে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু সে একজন বড় সরকারী কমকর্তা হওয়ার পর,সে আমাকে বললো আমি আর তোকে ফোন করবো না তুইও আর আমাকে ফোন করবি না। এমনকি তার মেয়ের বিয়েতে, যে মেয়েকে আমি ছোট বেলায় কোলে নিয়েছি তার বিয়েতে আমাকে দাওয়াত দিল না। ছাত্রলীগ নেতার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল আরো বলেন, দাওয়াত দিল আমদের ক্লাসমেট এক ছাত্রলীগ নেতাকে।যার সাথে কোনদিন আমাদের কোন রকম ফ্রেন্ডশীপ ছিল না।আমার কাছে তখন মনে হতো আমাকে যদি তার বিয়েতে দাওয়াত দিত তাহলে কি তার চাকরি চলে যেত? স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে আসিফ নজরূল বলেন, আমি কিন্তু মাঝেমাঝে মন খারাপ করে আমার স্ত্রীকে বলি, আমার কি কোনদিন এই জীবন আসবে কিছু করতে হবে না আমার কিছুই চিন্তা করতে হবে না আমার। আমি শুধু ঘুমাবো আর লিখব আর লিখব।তো আমার স্ত্রী বলছে অবশ্যই আসবে। শখ করে কফি বানানো শিখছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,বলছে আমি কফি’র দোকান দিব তুমি শুধু লিখবা আর লিখবা। আমার লেখালেখির মাঝখানে প্রায় ১৫ বছর গ্যাপ ছিল।আমি যে ১৫ বছর পর লিখতে পেরেছি এটা আমার স্ত্রীর জন্য।আমি ওর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।সবার সামনে বললাম ধন্যবাদ।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন আসিফ নজরুল

আপডেট সময়: ০৪:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

২০১৯ সাল থেকে আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে সুশীল সমাজ কিংবা শিক্ষকদের মধ্যে যাকে ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি তাঁদের পাশে সবসময় পেয়েছিলেন তিনি হলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। কয়েকদিন আগেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আসিফ নজরুলকে নিয়ে বলেছিলেন,এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন, আগ্রাসনবিরোধী কর্মসূচি থেকে যখন জেলে গেলাম, সেসময়টায় যাকে আমরা সবসময় পাশে পেয়েছিলাম ওনি আমাদের আসিফ নজরুল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু মূহর্ত বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হতে দেখা য়ায়। এমন একটা দেশে বসবাস করতেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন,আমার দুঃখ লাগে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু সে একজন বড় সরকারী কমকর্তা হওয়ার পর,সে আমাকে বললো আমি আর তোকে ফোন করবো না তুইও আর আমাকে ফোন করবি না। এমনকি তার মেয়ের বিয়েতে, যে মেয়েকে আমি ছোট বেলায় কোলে নিয়েছি তার বিয়েতে আমাকে দাওয়াত দিল না। ছাত্রলীগ নেতার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল আরো বলেন, দাওয়াত দিল আমদের ক্লাসমেট এক ছাত্রলীগ নেতাকে।যার সাথে কোনদিন আমাদের কোন রকম ফ্রেন্ডশীপ ছিল না।আমার কাছে তখন মনে হতো আমাকে যদি তার বিয়েতে দাওয়াত দিত তাহলে কি তার চাকরি চলে যেত? স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে আসিফ নজরূল বলেন, আমি কিন্তু মাঝেমাঝে মন খারাপ করে আমার স্ত্রীকে বলি, আমার কি কোনদিন এই জীবন আসবে কিছু করতে হবে না আমার কিছুই চিন্তা করতে হবে না আমার। আমি শুধু ঘুমাবো আর লিখব আর লিখব।তো আমার স্ত্রী বলছে অবশ্যই আসবে। শখ করে কফি বানানো শিখছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,বলছে আমি কফি’র দোকান দিব তুমি শুধু লিখবা আর লিখবা। আমার লেখালেখির মাঝখানে প্রায় ১৫ বছর গ্যাপ ছিল।আমি যে ১৫ বছর পর লিখতে পেরেছি এটা আমার স্ত্রীর জন্য।আমি ওর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।সবার সামনে বললাম ধন্যবাদ।