ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক অবরোধ করায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এসময় বন্ধ ছিল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম। এতে পণ্য পরিবহনে স্থবিরতাসহ যাত্রী পারাপারও বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বন্দরে গাড়ী ঢোকা শুরু হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে এই সড়ক অবরোধের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা ও বিজিপি’র বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ভোমরা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে গড়ে ২৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বর্তমানে পাথর, চাউল ও পেঁয়াজের ট্রাক বেশি আমদানি হচ্ছে। আর অল্প পরিমানে রপ্তানি হচ্ছে জুস, কুড়োর তেল ও গার্মেন্টস সামগ্রী।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ জানান, বাংলাদেশের সাথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা। এর অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গায় প্রধান সড়কে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করা হয়। এতে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ইমিগ্রশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে। ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর তাদের কাছে না থাকায় বাড়ি থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তারা। এবিষয়ে পাটকেলঘাটার আবেদ আলী জানান, ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর আমার জানা ছিলনা। তাই ভারতে যাওয়ার জন্য ভোমরায় এসেছি। ভোমরায় এসে দেখি ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ। কাজেই আজ ফেরত যাওয়া ছাড়া পথ নেই।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকালেই অবরোধ উঠে যাওয়ার আশা করছি। অবরোধ উঠে গেলে তখন হয়ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ফের শুরু হবে।ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন (ট্রাফিক) বলেন, ভোমরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করায় সকাল থেকে আমদানি -রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকা শুরু করে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৬০টি আমদানী পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক ভোমরা বন্দওে ঢুকেছে বলে জানান তিনি।