কোন প্রকার লিজ ছাড়া অবৈধভাবে নির্মিত সাইদুর বস্ত্রালয়ের ভবনের ছাঁদ অপসারণ করতে যেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপর হামলা, মারপিটের ঘটনায় অবশেষে ভবন অপসারণ ও ভবন মালিক ৩ ভাইয়ের জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে এ যাত্রায় রেহাই পেয়েছে । অবৈধ ভাবে নির্মিত বাকি ভবন গুলো ১ মাসের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে বাকি অবৈধ ভবনের উপর অভিযান চলমান থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছে ।
গতকাল বুধবার( ৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার, সেনা সদস্য ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে নাজিমগঞ্জ বাজারে অবৈধভাবে নির্মিত সাইদুর বস্ত্রালয়ে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে ।
ওই সময় অবৈধভাবে নির্মিত ভবন গুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । অভিযানের সময় অবৈধ ভবন মালিক সিরাজুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল ,সহকারী কমিশনার (ভূমি ) অমিত কুমার বিশ্বাস এবং সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শাহার নিকট গত মঙ্গলবারের কর্মকাণ্ড নিয়ে লিখিত অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে ক্ষমাপ্রার্থনা করলে তাদেরকে রেহাই দেওয়া হয়।
ওই সময় এসিল্যান্ডের উপরে হামলায় জড়িত ব্যক্তিরাও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করেন । লিজ গ্রহণ ছাড়া অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ ও ছাদ ঢালাই করার ঘটনায় স্থানীয় বসন্তপুর (ভূমি) অফিসের তহশীলদার এবং সহকারী কমিশনার( ভূমি)র নিষেধ অমান্য করে রাতারাতি ছাদ ঢালাই দিয়ে ভবন নির্মাণ করে ।
উক্ত ভবন অবসরণের জন্য নোটিশ প্রদান করে গত মঙ্গলবার অপসারণ করতে গেলে ভবন মালিক সাইদুল ইসলাম ,সিরাজুল ইসলাম এবং মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে ভবন অপসারণ কাজে বাধা ছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত বিশ্বাস ও কর্মচারীদের উপর হামলা ও মারপিট করে তাড়িয়ে দেয় । পরে বিষয়টি নিয়ে সাইদুল গং ভাড়াটিয়া অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ভাড়া করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে নিয়ে বিক্ষোভ করে উল্টো দোকান লুটপাটের অভিযোগ আনে ।
উক্ত ঘটনায় সরকারি কাজের বাধা দেওয়ায় মামলার প্রস্তুতির খবর জানতে পেরে রাজনৈতিক, ব্যবসায়ি ও সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে গতকাল অবৈধ ভবন অপসারণ করা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত সাইদুর বস্ত্রালয়ের মালিক সাইদুর রহমানের নিকট অবৈধ ভবন নির্মানের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য নিতে রাজি হয়নি।