আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গনঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগর। শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরীর গল্লামারী মোড়ে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গনঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগরীর আহবায়ক ইন্জিঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মো. সাইফুল্লাহ বাবুর পরিচালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহকারী আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা।
এ সময় গনঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগরীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ ( বিজেপি), সুফিবাদি নাগরিক মজলিস, খুলনা সাহিত্য একাডেমি, অবিচল সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠন, অভিলাশ সাহিত্য চর্যা কেন্দ্র, গল্লামারী বাজার কমিটি, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নেতৃবৃন্দদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে শিখা বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আজ দাঁড়াতে হয়েছে এখানে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ হলেও এখানে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ মিলেমিশে এক হয়ে বসবাস করে। কোনদিনই চিন্তা করিনি এভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আজ এখানে দাঁড়ানোর পেছনে মূল হোতা হল ইন্ডিয়া। যারা ইসকন নামক একটি উগ্রবাদী সংগঠনের হয়ে সহজ সরল হিন্দুদের কাঁধে ভর দিয়ে খুনী হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চায়। ৫ই আগষ্ট হাসিনা চলে গেলেও তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে কিছু উগ্রবাদীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ওঝা হয়ে আমরা ভুত তাড়াতে জানি। ১৭ বছরের রাজত্ব করা ডাইনি কে যদি আমরা বিতারিত করতে পারি তবে এই সব পেতাত্মা তো যা তা আমাদের কাছে। যে সকল উপদেষ্টামন্ডলী এবং দালাল দলসমূহ দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে চুপ করে আছে আর চিন্তা করছে ভারত তাদের চেয়ারে বসাবে তাদের জন্য স্পষ্ট করে বলতে চাই এদেশের জনগন আর কোন ভারতের দালালকে ক্ষমতায় বসাবে না। আমার দেশের সংখ্যালঘু না দেখে ভারত যেন তার দেশের সংখ্যালঘুর খেয়াল রাখে। আমরা এবার ওঝা হয়ে হাসিনার প্রেতাত্মা কে দেশ ছাড়া করবো ইনশাআল্লাহ।
দেশবিরোধী বিশ্বাসঘাতক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ইসকনের কর্মী-সমর্থকরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দিনের আলোতে জনসম্মুখে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভারতের উসকানি ও মদদে এই ষড়যন্ত্রমূলক অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শহীদ আলিফ হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে হিন্দুত্ববাদী ইসকনকে অতিসত্বর নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার প্রতিনিধি মো. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক কবি শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু , কবি মল্লিক জাহিদুল ইসলাম, কবি কেএম সেলিম, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, নাজমুল তারেক তুষার সদস্য সচিব-সুফিবাদি নাগরিক মজলিস-সুনাম খুলনা জেলা, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ খুলনা জেলা ( বিজেপি) আহবায়ক এম.ডি আলাউদ্দিন খান, সদস্য সচিব মুশফিকার শামস মেনান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম রেজা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রায়হান হোসেন, যুন্ম আহবায়ক মো. রবিউল খান, যুন্ম আহবায়ক সাগর ইসলাম রাজ, গল্লামারী বাজার কমিটির দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম সবুজ , আজিম, মিলন শেখ, আলভি হোসেন, শুভো জমাদ্দার, মিনার, নাইমা ইসলাম, অলিউর রহমান, তালহা, তোহা প্রমুখ।