খুলনায় জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ঢাকার টিকিট পেয়েছে সবুজ দল। রবিবার (২৪ নভেম্বর) খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লাল দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এই সুযোগ পেয়েছে তারা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা সবুজ দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩৭ রান করে লাল দল। সবুজ দল ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায়।
খুলনায় দীর্ঘদিন পর এ টুর্নামেন্ট ঘিরে ক্রীড়াপ্রেমিদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর আগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হক, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু ও সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিন।
সঙ্গে ছিলেন ঢাকার আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে শহীদ হামিদ শেখের পিতা তেরখাদার পানতিতা গ্রামের জাফর শেখ। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘নাইস টু বি ব্যাক। অনেক অনেক দিন পর খুলনায় এসেছি। খুলনার অনেক ইতিহাস, অনেক স্মৃতি। খুলনাকে ক্রিকেটের আঁতুরঘর বললেও ভুল হবে না। খুলনা অনেক জাতীয় ক্রিকেটারের জন্ম দিয়েছে। আজকের এই টুর্নামেন্টের আয়োজনে আমি খুবই খুশি।’টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল বলেছেন, ‘প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দু’টি করে দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দল।
বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে হলেও ১৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় মূল পর্ব শুরু হবে। ১৯ জানুয়ারি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি’র সহযোগিতায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।’