আজ শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন সুন্দরবনে অপহৃত দুই জেলে, জিম্মি আরও একজন

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৩:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে বাড়ি ফিরেছে সুন্দরবনে বনদস্যু মজনু বাহিনীর হাতে অপহৃত জেলে আতাহার হোসেন (৩৫) ও রুহিন সানা (২২)। বনদস্যুদের আস্তানায় পাঁচদিন জিম্মি থাকার পর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি খাল দিয়ে লোকালয়ে ফিরে আসেন তারা। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসা জেলে আতাহার হোসেন (৩৫) ও রুহিন সানা যথাক্রমে খুলনার কয়রা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের শফিকুল বিশ্বাস ও রহিম সানার ছেলে।

ফিরে আসা জেলে আতাহার হোসেন জানান, গত ৮ নভেম্বর সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হাঁড়িভাঙ্গা নামীয় এলাকা থেকে বনদস্যুরা তাদের অপহরণ করে। এসময় তারা পরিবারের সদস্য এবং মহাজনের নাম্বার ও নাম নেয়। সোমবার মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তারা হরিনগর এলাকার চুনকুড়ি খাল দিয়ে লোকালয়ে ফিরে আসেন। মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের মহাজন জানেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফিরে আসা জেলের মহাজন জানান, অপহরণের পর বনদস্যুরা ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পরবর্তীতে মুক্তিপণের অংক কমিয়ে ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। রোববার (১০ নভেম্বর) বিকাশযোগে ২ লাখ টাকা পরিশোধের পর বনদস্যুরা সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে অন্য একটি জেলে নৌকায় তাদের উঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে তারা পরিবারের কাছে পৌঁছেছেন।

এসব জেলেদের মহাজনের দাবি, বনদস্যুরা নাম্বার দু’টি ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবিসহ বিকাশে টাকা গ্রহণ করে। এদিকে, একই বনদস্যু দলের সদস্যরা আতাহার ও রুহিনকে মুক্ত করে দেয়ার সময় আবু বক্কার গাজী নামে অপর এক জেলেকে জিম্মি করেছে বলে জানা গেছে। শ্যামনগর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে আবু বক্কারের জন্য ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করার কথা জানিয়েছে তার স্বজনরা।

ফিরে আসা জেলেদের দাবি, ২০১৮ সালে র‌্যাব-৮ এর হাতে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু মজনু আবারও সুন্দরবেন দস্যুতা শুরু করেছে। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সাত/আট সহযোগীকে নিয়ে সে আবারও জেলে অপহরণসহ মুক্তিপণ আদায়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। বিপুল কোম্পানির নৌকাযোগে তিন সপ্তাহ আগে এসব বনদস্যু সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে বলে জানান তারা। এবিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ.জে.এড হাছানুর রহমান জানান, বনদস্যুদের অপতৎপরতা প্রতিরোধে অপরাপর বাহিনীর সাথে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বনে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাতক্ষীরায় তিনটি বিদেশি পিস্তল,৬টি ম্যাগাজিন ও গুলিসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন সুন্দরবনে অপহৃত দুই জেলে, জিম্মি আরও একজন

আপডেট সময়: ০৩:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে বাড়ি ফিরেছে সুন্দরবনে বনদস্যু মজনু বাহিনীর হাতে অপহৃত জেলে আতাহার হোসেন (৩৫) ও রুহিন সানা (২২)। বনদস্যুদের আস্তানায় পাঁচদিন জিম্মি থাকার পর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি খাল দিয়ে লোকালয়ে ফিরে আসেন তারা। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসা জেলে আতাহার হোসেন (৩৫) ও রুহিন সানা যথাক্রমে খুলনার কয়রা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের শফিকুল বিশ্বাস ও রহিম সানার ছেলে।

ফিরে আসা জেলে আতাহার হোসেন জানান, গত ৮ নভেম্বর সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হাঁড়িভাঙ্গা নামীয় এলাকা থেকে বনদস্যুরা তাদের অপহরণ করে। এসময় তারা পরিবারের সদস্য এবং মহাজনের নাম্বার ও নাম নেয়। সোমবার মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তারা হরিনগর এলাকার চুনকুড়ি খাল দিয়ে লোকালয়ে ফিরে আসেন। মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের মহাজন জানেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফিরে আসা জেলের মহাজন জানান, অপহরণের পর বনদস্যুরা ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পরবর্তীতে মুক্তিপণের অংক কমিয়ে ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। রোববার (১০ নভেম্বর) বিকাশযোগে ২ লাখ টাকা পরিশোধের পর বনদস্যুরা সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে অন্য একটি জেলে নৌকায় তাদের উঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে তারা পরিবারের কাছে পৌঁছেছেন।

এসব জেলেদের মহাজনের দাবি, বনদস্যুরা নাম্বার দু’টি ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবিসহ বিকাশে টাকা গ্রহণ করে। এদিকে, একই বনদস্যু দলের সদস্যরা আতাহার ও রুহিনকে মুক্ত করে দেয়ার সময় আবু বক্কার গাজী নামে অপর এক জেলেকে জিম্মি করেছে বলে জানা গেছে। শ্যামনগর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে আবু বক্কারের জন্য ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করার কথা জানিয়েছে তার স্বজনরা।

ফিরে আসা জেলেদের দাবি, ২০১৮ সালে র‌্যাব-৮ এর হাতে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু মজনু আবারও সুন্দরবেন দস্যুতা শুরু করেছে। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ সাত/আট সহযোগীকে নিয়ে সে আবারও জেলে অপহরণসহ মুক্তিপণ আদায়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। বিপুল কোম্পানির নৌকাযোগে তিন সপ্তাহ আগে এসব বনদস্যু সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে বলে জানান তারা। এবিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ.জে.এড হাছানুর রহমান জানান, বনদস্যুদের অপতৎপরতা প্রতিরোধে অপরাপর বাহিনীর সাথে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বনে অভিযান পরিচালনা করা হবে।