চলতি বছরের শুরুতে আয়োজিত ২১তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ওপার বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। তখন এক সাক্ষাৎকারে নাকি অভিনেতা জানিয়েছিলেন, সব্যসাচী চক্রবর্তী তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের ইতি টানছেন। অবশ্য তিনি নাকি তখন বলেছিলেন, শুধু ফেলুদা থেকেই বিদায় নিয়েছেন তিনি; পুরো অভিনয় থেকে না। কিন্তু একই বছরেই এসে জানিয়ে দিলেন, সত্যিই আর পর্দায় দেখা যাবে না এই অভিনেতাকে।
মোদ্দাকথা, অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দিলেন সব্যসাচী। তবে এ জন্য শারীরিক অবস্থা বা বার্ধক্যকে দুষছেন না এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার কথায়, কোনো চরিত্র না থাকায় নাকি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানালেন তিনি। সব্যসাচীর কথায়, ‘হ্যাঁ, এখন আমি অবসর গ্রহণ করতে চাইছি। কারণ আমার এখন আর করার মতো কোনো চরিত্র নেই।’
ফেলুদার বাইরেও তো চরিত্র রয়েছে, নিশ্চয়ই প্রস্তাব পান? এমন প্রশ্নের জবাবে সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে বলা হয়, “আপনি না থাকলে সিনেমাটা হবে না।” কী চরিত্র জিজ্ঞাসা করার পর বলে, “হিরোর বাবা।” দেখা যাবে, হয়ত তার আগের সিনেমাগুলোতেও একই চরিত্র এবং একই সংলাপ। আমার যুক্তি, নতুন কিছু না হলে আমি অভিনয় করব না।’
১৯৯২ সালে অভিনয়ে নাম লেখান সব্যসাচী। ‘তেরো পার্বণ’ টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘রুদ্রসেনের ডায়েরি’ টিভি সিরিয়ালে প্রথম গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।