সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে একেকটি নিত্যপণ্যের দাম। রীতিমতো দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা যেন! ভোক্তার পকেট কাটতে বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর এই নৈরাজ্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। বলতে গেলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দিশাহারা। আলু, বেগুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ প্রায় সব ধরনের সবজিই অস্বাভাবিক দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমও চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, কোনো কোনো পণ্যের দাম মাসের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সাধারণ মানুষ না পারছে বলতে, না পারছে সইতে—এমন এক অবস্থা। ত্যক্ত-বিরক্ত ভোক্তা রাগে-ক্ষোভে বিক্রেতাকে দু-এক কথা শুনিয়ে দিলেও দামের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেই বাড়ি ফিরছে।
সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়। জানা যায়, বিদায়ি আওয়ামী সরকারের সময় থেকেই বাজারে এই অস্থিরতা চলছিল। ওই সরকারের ওপর মানুষের ক্ষোভের এটিও একটি কারণ। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর বাজার সহনীয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।
নজরদারি বাড়ানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় সুদের হার বাড়িয়ে বাজারে টাকার প্রবাহ কমানো, টিসিবির মাধ্যমে সুলভে পণ্য বিক্রি বাড়ানো, বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক কমানোর পাশাপাশি ডিম, আলুসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিরও সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, অতিমুনাফালোভী পুরনো সিন্ডিকেট আগের মতোই সক্রিয়। অনেক ক্ষেত্রে বেপরোয়া। আর পথে পথে পরিচয় বদলে চাঁদাবাজিও চলছে সমান তালে।