আজ শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo পাঁচ দিনে কেমন থাকবে তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অফিস Logo ঢাকায় পাঁচজনের শরীরে নতুন ভাইরাস শনাক্ত Logo চা শ্রমিক সমাবেশে যোগ দিতে মৌলভীবাজারে আসছেন সারজিস আলম Logo ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo কালিগঞ্জে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে অংশগ্রহনকারী ২৮ জন কিশোরকে পুরুস্কার বিতরণ Logo কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর একতা তরুণ ব্লাড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo সাতক্ষীরা মেডিকেলের ৪০ জন চিকিৎসকের পদ শুন্য কয়েক বছর ধরে, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত Logo ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তক হাতে পাবে: প্রেস সচিব Logo বাংলাদেশের ওপর বিরক্ত সৌদি সরকার Logo পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী নিয়াজ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে চীন

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৩:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশকে বড় সুখবর দিয়েছে চীন। চল‌তি বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে বেইজিং। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চীনা দূতাবাস এক বিবৃ‌তিতে এ তথ্য জা‌নিয়েছে। চীনা দূতাবাস জানায়, গত ৫ সে‌প্টেম্বর প্রেসি‌ডেন্ট শি জিন‌পিং চীন-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছেন। আগামী ১ ডি‌সেম্বর ২০২৪-এ বাংলা‌দেশ ও চী‌নের কূট‌নৈ‌তিক সম্প‌র্ক স্থাপ‌নের দিন থে‌কে বাংলা‌দেশ শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পা‌বে।

জানা গেছে, ট্যারিফ কোটা ব্যবস্থাপনা সাপেক্ষে পণ্যের জন্য শূন্য-শুল্ক ব্যবস্থাপনা শুধু কোটার পরিমাণের মধ্যে থাকা পণ্যগুলোর জন্য প্রযোজ্য হ‌বে। কোটার পরিমাণ অতিক্রম করা পণ্যে মূল শুল্ক হারের অধীন হবে।

২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল। ২০২০ সালে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য এ সুবিধা পেত। ২০২০ অর্থবছরে চীন দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করছে যে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, চীনের আমদানি বাজেটের এক শতাংশও যদি বাংলাদেশ থেকে যায়, তাহলেও আমরা বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারব। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন থেকে ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হয় ৬৭৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঁচ দিনে কেমন থাকবে তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অফিস

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে চীন

আপডেট সময়: ০৩:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশকে বড় সুখবর দিয়েছে চীন। চল‌তি বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে বেইজিং। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চীনা দূতাবাস এক বিবৃ‌তিতে এ তথ্য জা‌নিয়েছে। চীনা দূতাবাস জানায়, গত ৫ সে‌প্টেম্বর প্রেসি‌ডেন্ট শি জিন‌পিং চীন-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছেন। আগামী ১ ডি‌সেম্বর ২০২৪-এ বাংলা‌দেশ ও চী‌নের কূট‌নৈ‌তিক সম্প‌র্ক স্থাপ‌নের দিন থে‌কে বাংলা‌দেশ শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পা‌বে।

জানা গেছে, ট্যারিফ কোটা ব্যবস্থাপনা সাপেক্ষে পণ্যের জন্য শূন্য-শুল্ক ব্যবস্থাপনা শুধু কোটার পরিমাণের মধ্যে থাকা পণ্যগুলোর জন্য প্রযোজ্য হ‌বে। কোটার পরিমাণ অতিক্রম করা পণ্যে মূল শুল্ক হারের অধীন হবে।

২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল। ২০২০ সালে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য এ সুবিধা পেত। ২০২০ অর্থবছরে চীন দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করছে যে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, চীনের আমদানি বাজেটের এক শতাংশও যদি বাংলাদেশ থেকে যায়, তাহলেও আমরা বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারব। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন থেকে ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হয় ৬৭৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।