আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo ঢাবিতে যুবক হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo ১ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের অবস্থান ও বিক্ষোভ Logo সাতক্ষীরায় শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষে মতবিনিময় সভা Logo আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভা Logo ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী Logo শ্যামনগরের সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ Logo সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার Logo সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

যশোর জেলা আ’লীগের সভাপতি বিরুদ্ধে অভিযোগ ৭দিনের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৩:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে ফতেপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে আসাদুজ্জামানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ সাতদিনের মধ্যে আমলে নিয়ে নিস্পত্তির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। এ আদেশের অনুলিপি যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও যশোর কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামানের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার।

এরআগে আসাদুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে পিয়াস ও মাস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেন কোতোয়ালি থানায়। পরবর্তি তিনি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। সেখান থেকেও কোনো সহায়তা পাননি। গত ২ জুলাই তিনি আইজিপি বরারব অভিযোগ করেন। তাতেও কোনো ফলাফল না পাওয়া তিনি শেষশেষ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।

আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, ১৯৯৩ সালে ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে ওই গ্রামে জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও ভোগ দখল করে আসছিলেন। এই জায়গার সাবেক মালিক নুরুল ইসলাম। তিনি এই জমি শিল্প ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়েছিলেন। ওই ব্যাংক এই জায়গা নিলামে বিক্রি করলে তিনি ক্রয় করেন। গত বছর নুরুল ইসলামের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম এই জমি দখলের জন্য তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে যান। নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামের বেয়াই হন। এরই জেরে গত ২৭ জুন আবারও তারা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বাড়িতে হানা দেন। এসময় আটটি বসতঘর স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও ধান, গম লুট করা হয়। আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে পিয়াস ও মাস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। পরবর্তিতে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন । যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এমনকি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই তিনি ন্যায় বিচার পাননি। বাধ্য হয়ে আইজিপি বরাবর অভিযোগ ও পরবর্তিতে হ্ইাকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন।

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, শহিদুল ইসলাম মিলন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তার সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালি থানার ওসির সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। ফলে তিনি মামলা রেকর্ড করছেন না। তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করেন। আসাদুজ্জামানের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার জানান, হাইকোর্টে পিটিশন দাখিলের পরই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয় আদালত। মুলত আসাদুজ্জামান যশোরে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। উচ্চ আদালত শুনানি শেষে তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সাতদিনের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নিস্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসলে অবশ্যই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবিতে যুবক হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

যশোর জেলা আ’লীগের সভাপতি বিরুদ্ধে অভিযোগ ৭দিনের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ

আপডেট সময়: ০৩:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে ফতেপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে আসাদুজ্জামানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ সাতদিনের মধ্যে আমলে নিয়ে নিস্পত্তির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। এ আদেশের অনুলিপি যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও যশোর কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামানের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার।

এরআগে আসাদুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে পিয়াস ও মাস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেন কোতোয়ালি থানায়। পরবর্তি তিনি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। সেখান থেকেও কোনো সহায়তা পাননি। গত ২ জুলাই তিনি আইজিপি বরারব অভিযোগ করেন। তাতেও কোনো ফলাফল না পাওয়া তিনি শেষশেষ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।

আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, ১৯৯৩ সালে ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে ওই গ্রামে জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও ভোগ দখল করে আসছিলেন। এই জায়গার সাবেক মালিক নুরুল ইসলাম। তিনি এই জমি শিল্প ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়েছিলেন। ওই ব্যাংক এই জায়গা নিলামে বিক্রি করলে তিনি ক্রয় করেন। গত বছর নুরুল ইসলামের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম এই জমি দখলের জন্য তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে যান। নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামের বেয়াই হন। এরই জেরে গত ২৭ জুন আবারও তারা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বাড়িতে হানা দেন। এসময় আটটি বসতঘর স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও ধান, গম লুট করা হয়। আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে পিয়াস ও মাস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। পরবর্তিতে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন । যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এমনকি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই তিনি ন্যায় বিচার পাননি। বাধ্য হয়ে আইজিপি বরাবর অভিযোগ ও পরবর্তিতে হ্ইাকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন।

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, শহিদুল ইসলাম মিলন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তার সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালি থানার ওসির সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। ফলে তিনি মামলা রেকর্ড করছেন না। তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করেন। আসাদুজ্জামানের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার জানান, হাইকোর্টে পিটিশন দাখিলের পরই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয় আদালত। মুলত আসাদুজ্জামান যশোরে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। উচ্চ আদালত শুনানি শেষে তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সাতদিনের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নিস্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসলে অবশ্যই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।