আজ শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

দর্শনার বাজিমাত

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। ওটিটি কিংবা মিউজিক ভিডিও সব প্ল্যাটফর্মেই দেখা মিলেছে তার। টালিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই সুন্দরী। বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করেছেন দর্শনা। শাকিবের নায়িকা হিসেবে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘ওমর’ সিনেমায় আইটেম গানে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন এই টালি সুন্দরী। এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নাটকে দেখা মিলল দর্শনার। ঈদুল আজহার আগে ‘ইতিবৃত্ত’ নামে নাটকটিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই নাটকটি ইউটিউবে মুক্ত হয়েছে। এতে দর্শনার অভিনয়ের প্রশংসায় মেতেছেন দর্শক। তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সময়ের আলোচিত নাম ইয়াশ রোহান। এই নাটকে দর্শনাকে কাস্ট করার চিন্তা কীভাবে এলো—এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু কালবেলাকে বলেন, আমি আসলে একজন শিল্পী খুঁজছিলাম। এই চরিত্রটি করার জন্য। খুঁজতে খুঁজতে ওপার বাংলার দর্শনার নাম মাথায় আসে। ওখানে আমার বন্ধু রয়েছে। মূলত প্রথমে তার মাধ্যমে যোগাযোগ করি। কথা বলার পর আমি তাকে স্ক্রিপ্ট পাঠাই। রাতেই ফোন করে তিনি (দর্শনা) কাজটি করতে রাজি হয়ে যান। সেটি আরও আগের কথা। আমি কাজের বাকি প্রস্তুতি আগেই সেরে ফেলেছিলাম। পরে ঢাকায় দর্শনা একটি কাজে আসেন। তখন শুটিং করি আমরা।

তিনি আরও বলেন, বাংলা নাটক দর্শনার আগে থেকেই পছন্দ। নিজের অভিনীত প্রথম নাটক দেখেও দারুণ খুশি সে। কাজ দেখে আমাকে ফোন দিয়েছিল। ওর স্বামীও (অভিনেতা সৌরভ দাস) ফোন দিয়েছিলেন। তিনিও বেশ প্রশংসা করেছেন। নাটকটির দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে রিংকু বলেন, ‘ইতিবৃত্ত’র গল্পটি মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। গল্পটি একজন মাদকাসক্ত ছেলেকে নিয়ে। মাদকাসক্তদের খারাপ চোখে দেখায় তারা সমাজের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও সাপোর্ট পায় না। পরিবারের সদস্যরা নেতিবাচক চোখে দেখে। অথচ পরিবার কিন্তু পারে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। সেটি খুব একটা দেখা যায় না। একজন মাদকাসক্তেরও সুন্দর জীবনের ফেরার অধিকার রয়েছে। সেটি সমাজ ও পরিবার সবার দায়িত্ব। সবমিলে গল্পটি দর্শক গ্রহণ করেছেন।

এদিকে বাংলাদেশের নাটকে অভিনয়ের পর দর্শক রেসপন্স দেখে মুগ্ধ দর্শনা। ছোটবেলায় থিয়েটার করেছেন তিনি। পরে অবশ্য নিয়মিত হননি। তবে এই কাজের পর কলকাতার মঞ্চেও অভিনয়ের আগ্রহ বেড়েছে তার। শুধু সিনেমা কিংবা ওটিটি না, অভিনেত্রী চান যে কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে। অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরা যায় এমন কাজই করতে চান তিনি।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

দর্শনার বাজিমাত

আপডেট সময়: ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। ওটিটি কিংবা মিউজিক ভিডিও সব প্ল্যাটফর্মেই দেখা মিলেছে তার। টালিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই সুন্দরী। বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করেছেন দর্শনা। শাকিবের নায়িকা হিসেবে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘ওমর’ সিনেমায় আইটেম গানে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন এই টালি সুন্দরী। এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নাটকে দেখা মিলল দর্শনার। ঈদুল আজহার আগে ‘ইতিবৃত্ত’ নামে নাটকটিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই নাটকটি ইউটিউবে মুক্ত হয়েছে। এতে দর্শনার অভিনয়ের প্রশংসায় মেতেছেন দর্শক। তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সময়ের আলোচিত নাম ইয়াশ রোহান। এই নাটকে দর্শনাকে কাস্ট করার চিন্তা কীভাবে এলো—এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু কালবেলাকে বলেন, আমি আসলে একজন শিল্পী খুঁজছিলাম। এই চরিত্রটি করার জন্য। খুঁজতে খুঁজতে ওপার বাংলার দর্শনার নাম মাথায় আসে। ওখানে আমার বন্ধু রয়েছে। মূলত প্রথমে তার মাধ্যমে যোগাযোগ করি। কথা বলার পর আমি তাকে স্ক্রিপ্ট পাঠাই। রাতেই ফোন করে তিনি (দর্শনা) কাজটি করতে রাজি হয়ে যান। সেটি আরও আগের কথা। আমি কাজের বাকি প্রস্তুতি আগেই সেরে ফেলেছিলাম। পরে ঢাকায় দর্শনা একটি কাজে আসেন। তখন শুটিং করি আমরা।

তিনি আরও বলেন, বাংলা নাটক দর্শনার আগে থেকেই পছন্দ। নিজের অভিনীত প্রথম নাটক দেখেও দারুণ খুশি সে। কাজ দেখে আমাকে ফোন দিয়েছিল। ওর স্বামীও (অভিনেতা সৌরভ দাস) ফোন দিয়েছিলেন। তিনিও বেশ প্রশংসা করেছেন। নাটকটির দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে রিংকু বলেন, ‘ইতিবৃত্ত’র গল্পটি মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। গল্পটি একজন মাদকাসক্ত ছেলেকে নিয়ে। মাদকাসক্তদের খারাপ চোখে দেখায় তারা সমাজের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও সাপোর্ট পায় না। পরিবারের সদস্যরা নেতিবাচক চোখে দেখে। অথচ পরিবার কিন্তু পারে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। সেটি খুব একটা দেখা যায় না। একজন মাদকাসক্তেরও সুন্দর জীবনের ফেরার অধিকার রয়েছে। সেটি সমাজ ও পরিবার সবার দায়িত্ব। সবমিলে গল্পটি দর্শক গ্রহণ করেছেন।

এদিকে বাংলাদেশের নাটকে অভিনয়ের পর দর্শক রেসপন্স দেখে মুগ্ধ দর্শনা। ছোটবেলায় থিয়েটার করেছেন তিনি। পরে অবশ্য নিয়মিত হননি। তবে এই কাজের পর কলকাতার মঞ্চেও অভিনয়ের আগ্রহ বেড়েছে তার। শুধু সিনেমা কিংবা ওটিটি না, অভিনেত্রী চান যে কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে। অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরা যায় এমন কাজই করতে চান তিনি।