আজ শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

চাকরি নিশ্চিত হওয়ার আগে দাপট দেখিয়ে ফাঁসলেন তরুণী

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

সরকারি চাকরি পেয়ে ক্ষমতার দাপট বা অপব্যবহার অনেকে করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ। আর তা লুফে নিতে অনেক কষ্ট এবং কাঠখড় পোড়াতে হয়। ফলে সেই সোনার হরিণ হাতে অনেকের দাপট দেখানোর কারণে আবার মুখোমুখি হতে হয় শাস্তিরও। এবার সামনে এসেছে তেমনি এক ঘটনা। সরকারি চাকরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন এক তরুণী। আর তারপরই ফেঁসে গেছেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদামাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করা ওই তরুণী শিক্ষানবিশ আইএএস কর্মকর্তা। ভারতের মহারাষ্ট্রে তিনি কর্মরত ছিলেন। সেখানে নিয়মবহির্ভূতভাবে দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। ফলে তাকে পুনে থেকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করা ওই তরুণীর নাম পূজা খেদকর। তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় সর্বভারতীয় র‍্যাংকিংয়ে ৮২১তম হয়েছিলেন। তাকে পুনেতে ডেপুটি কালেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি শিক্ষানবিশ কর্মকর্তারা পান না এমন সব সুযোগ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন। তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল-নীল সাইরেন এবং মহারাষ্ট্র সরকার সংবলিত লেখা ব্যবহার করেছিলেন।

কেবল তাই নয়, অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় মোর অনুপস্থিত থাকায় তার কক্ষ দখলে নেন তিনি। তার সম্মতি ছাড়াই সরিয়ে ফেলেন অফিসের আসবাবও। এমনকি রাজস্ব সহকারীকে তার নামে একটির লেটার হেড, নেমপ্লেটসহ অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সামনে আসার পর পুনের কালেক্টর সুহাস ডিভাসে রাজ্যের মুখ্যসচিব বরাবর চিঠি দেন। এরপরই তাকে পুনে থেকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়। আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ ব্যাচের এ কর্মকর্তা ওয়াশিস জেলায় সুপার নিউমারারি অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে শিক্ষানবিশ কালের বাকি সময় পার করবেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূজা নামে ওই তরুণীর বাবাও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। মেয়ের অন্যায্য দাবি আদায়ে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর কার্যালয়েও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

যেকোনো মূল্যে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে: ড. ইউনূস

চাকরি নিশ্চিত হওয়ার আগে দাপট দেখিয়ে ফাঁসলেন তরুণী

আপডেট সময়: ১২:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরি পেয়ে ক্ষমতার দাপট বা অপব্যবহার অনেকে করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ। আর তা লুফে নিতে অনেক কষ্ট এবং কাঠখড় পোড়াতে হয়। ফলে সেই সোনার হরিণ হাতে অনেকের দাপট দেখানোর কারণে আবার মুখোমুখি হতে হয় শাস্তিরও। এবার সামনে এসেছে তেমনি এক ঘটনা। সরকারি চাকরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন এক তরুণী। আর তারপরই ফেঁসে গেছেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদামাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করা ওই তরুণী শিক্ষানবিশ আইএএস কর্মকর্তা। ভারতের মহারাষ্ট্রে তিনি কর্মরত ছিলেন। সেখানে নিয়মবহির্ভূতভাবে দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। ফলে তাকে পুনে থেকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করা ওই তরুণীর নাম পূজা খেদকর। তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় সর্বভারতীয় র‍্যাংকিংয়ে ৮২১তম হয়েছিলেন। তাকে পুনেতে ডেপুটি কালেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি শিক্ষানবিশ কর্মকর্তারা পান না এমন সব সুযোগ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন। তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল-নীল সাইরেন এবং মহারাষ্ট্র সরকার সংবলিত লেখা ব্যবহার করেছিলেন।

কেবল তাই নয়, অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় মোর অনুপস্থিত থাকায় তার কক্ষ দখলে নেন তিনি। তার সম্মতি ছাড়াই সরিয়ে ফেলেন অফিসের আসবাবও। এমনকি রাজস্ব সহকারীকে তার নামে একটির লেটার হেড, নেমপ্লেটসহ অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সামনে আসার পর পুনের কালেক্টর সুহাস ডিভাসে রাজ্যের মুখ্যসচিব বরাবর চিঠি দেন। এরপরই তাকে পুনে থেকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়। আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ ব্যাচের এ কর্মকর্তা ওয়াশিস জেলায় সুপার নিউমারারি অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে শিক্ষানবিশ কালের বাকি সময় পার করবেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূজা নামে ওই তরুণীর বাবাও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। মেয়ের অন্যায্য দাবি আদায়ে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর কার্যালয়েও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি।