আজ বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস Logo কলারোয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ Logo স্থানীয় সরকারের সাথে লবি মিটিং Logo আকবর আলী ফাউন্ডেশন ও সার্বিক গ্রাম উন্নয়নের উদ‍্যোগে কম্বল বিতরণ Logo সাতক্ষীরার নবাগত জেলা ও দায়রা জজকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা Logo মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত Logo গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ট্রাম্পের Logo সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ Logo দেশের ৬৮ ভাগ বাস-ট্রাকের চালক কানে শোনেন না: পরিবেশ উপদেষ্টা Logo ইউক্রেনের যুদ্ধ অবসানে চুক্তি করতে চান জেলেনস্কি: ট্রাম্প
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

৯ কোটি টাকা ঋণের মামলায় গ্রেপ্তার মহিলা লীগ নেত্রী

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:১৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া থাকার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) তারিখ দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ড ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী অর্থঋণ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ বেবিকে আটকের কথা জানালেও বেবি নিজেকে জামিনে রয়েছেন বলে পুলিশকে জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম।

বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান জানান, ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী বিসিক এলাকায় মেসার্স পটুয়াখালী টেক্সটাইল নামে একটি কোম্পানি খুলে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম খান নামক এক ব্যক্তি। ওই কোম্পানির অর্ধেক শেয়ার নিজ নামে রেখে কোম্পানির পরিচালক পদ দিয়ে ২৫ ভাগ করে শেয়ার দেখানো হয় সিরাজুলের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা বেবি এবং হামিদুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির নামে। টেক্সটাইলটি ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের বকেয়া দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ সময়ের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম ও হামিদুল হকের মৃত্যু হয়। এরপর ঋণের অর্থ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে জাকিয়া সুলতানা বেবিকে আসামি করে ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করেন।

ব্যাংক ম্যানেজার আরও জানান, ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুদে-আসলে বর্তমান লেজার স্থিতি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সুদ মওকুফের পর জাকিয়া সুলতানা বেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা দাড়ায় প্রায় ৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। গত মে মাসে জাকিয়া সুলতানা বেবি ১৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের কাছে সুদ মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট সভা তিন কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না মেনে বেবি প্রতিনিয়ত খিলাপি তালিকার শীর্ষ ওঠেন। পরবর্তীতে ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আসাদ জানান, আটককৃত আসামি বেবিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

৯ কোটি টাকা ঋণের মামলায় গ্রেপ্তার মহিলা লীগ নেত্রী

আপডেট সময়: ১২:১৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া থাকার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) তারিখ দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ড ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী অর্থঋণ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ বেবিকে আটকের কথা জানালেও বেবি নিজেকে জামিনে রয়েছেন বলে পুলিশকে জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম।

বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান জানান, ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী বিসিক এলাকায় মেসার্স পটুয়াখালী টেক্সটাইল নামে একটি কোম্পানি খুলে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম খান নামক এক ব্যক্তি। ওই কোম্পানির অর্ধেক শেয়ার নিজ নামে রেখে কোম্পানির পরিচালক পদ দিয়ে ২৫ ভাগ করে শেয়ার দেখানো হয় সিরাজুলের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা বেবি এবং হামিদুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির নামে। টেক্সটাইলটি ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের বকেয়া দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ সময়ের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম ও হামিদুল হকের মৃত্যু হয়। এরপর ঋণের অর্থ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে জাকিয়া সুলতানা বেবিকে আসামি করে ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করেন।

ব্যাংক ম্যানেজার আরও জানান, ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুদে-আসলে বর্তমান লেজার স্থিতি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সুদ মওকুফের পর জাকিয়া সুলতানা বেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা দাড়ায় প্রায় ৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। গত মে মাসে জাকিয়া সুলতানা বেবি ১৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের কাছে সুদ মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট সভা তিন কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না মেনে বেবি প্রতিনিয়ত খিলাপি তালিকার শীর্ষ ওঠেন। পরবর্তীতে ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আসাদ জানান, আটককৃত আসামি বেবিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।