ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২শ ৫০টি ঘরের চাবি ও ২ শতক জমির দলিল প্রদানের মাধ্যমে সাতক্ষীরাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরের চাবী ও দলিল হস্তান্তরের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সদর উপজেলার ১১০ টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘরের চাবী ও দলিল তুলে দেন। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ সরকার প্রমুখ।
এছাড়া, একই দিনে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ১৪০ টি পরিবারের মাঝে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট একক গৃহের চাবী ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। এনিয়ে দু’টি উপজেলার ২৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল প্রদান করা হলো। এর আগে জেলার বাকি উপজেলাগুলোকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির বলেন, সারা পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার সাহস দেখাননি। সরকারি ঘর না পেলে অসহায় এসব মানুষদের থাকার জায়গা হতোনা। গৃহহীন ও ভুমিহীনমুক্ত ঘোষণার পরেও যদি কেউ ঘর পাননি, এমন দেখা যায়, তাহলে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ চলমান থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন ও গৃহহীনরা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাভা এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া সহিদুল ইসলাম জানান, আগে তার থাকার জায়গা ছিলনা। এখন থাকার জায়গা হলো। ২শতক জমির মালিক হওয়ার পাশাপাশি ফাকা জায়গায় সবজিও চাষ করাও যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ে সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩শ ৬৭ টি ঘর হস্তান্তর করে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। এছাড়া পঞ্চম পর্যায়ে আজ ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার ২৫০টিসহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসিত করলেন। তবে জেলার মধ্যে আশাশুনি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৩৬ টি ঘর দেওয়া হয়েছে।