আজ শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

নির্বাচনী বিরোধের জের : খুলনায় মৎস্য ঘের মালিক ও ছেলের ওপর হামলা

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৩:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

খুলনায় উপজেলা নির্বাচন বিরোধের জের পরবর্তী সহিসংসতায় ঘের মালিক এস এম এ বাশার (৫০) ও তাঁর ছেলে আলামিন মোহাম্মাদ বিন মাহির (১৩) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। পরে হামলাকারীরা তাদের মাছের ঘেরটি দখল করে নিয়েছে। জেলার দাকোপ উপজেলার কালিনগর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭জনের নাম উল্লেখসহ দাকোপ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

হামলায় আহত ঘের মালিক এসএমএ বাশার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কামারখোলা ইউনিয়নের সাহারাবাদ গ্রামে মৎস্য প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঘেরটি দখলের জন্য চেষ্টা করছে। কামলারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডলের সঙ্গে তার বিরোধ ও মামলা রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি ও দলের চেষ্টা করে আসছে। সর্বশেষ ৫ জুনের উপজেলা নির্বাচনের পর ওই পক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমন অবস্থায় গত ৯ জুন তিনি ঘের থেকে খুলনা শহরের উদ্দেশ্য মোটরসাইকেল রওনা দেন। তিনি কালীনগর বাজারে পৌঁছালে একই এলাকার মোঃ আজিজুল সরদার (৪৮), মোঃ ফকির সাইফুল (৪৯), ইদ্রিস গাজী (৪৫), শাহাদাত গাজী (৩৪), লুৎফর রহমান গাজী, হালিম মোল্যা (৪৬), সম্রাট ইসলাম (২৩), কবির সরদার (৩৫) অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাঁর ছেলে আলামিন বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করে। হামলাকারীরা তার ঘের কর্মচারী হানজালা সানা (২২) এর কাছ থেকে ঘের চাবি নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ছেলে আলামিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

আবুল বাশার বলেন, হামলার পর মামলা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। ফলে তিনি পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে না থাকায় এ হামলা হয়েছে। দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ওই মামলার আসামীরা জামিনে থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

নির্বাচনী বিরোধের জের : খুলনায় মৎস্য ঘের মালিক ও ছেলের ওপর হামলা

আপডেট সময়: ০৩:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

খুলনায় উপজেলা নির্বাচন বিরোধের জের পরবর্তী সহিসংসতায় ঘের মালিক এস এম এ বাশার (৫০) ও তাঁর ছেলে আলামিন মোহাম্মাদ বিন মাহির (১৩) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। পরে হামলাকারীরা তাদের মাছের ঘেরটি দখল করে নিয়েছে। জেলার দাকোপ উপজেলার কালিনগর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭জনের নাম উল্লেখসহ দাকোপ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

হামলায় আহত ঘের মালিক এসএমএ বাশার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কামারখোলা ইউনিয়নের সাহারাবাদ গ্রামে মৎস্য প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঘেরটি দখলের জন্য চেষ্টা করছে। কামলারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডলের সঙ্গে তার বিরোধ ও মামলা রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি ও দলের চেষ্টা করে আসছে। সর্বশেষ ৫ জুনের উপজেলা নির্বাচনের পর ওই পক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমন অবস্থায় গত ৯ জুন তিনি ঘের থেকে খুলনা শহরের উদ্দেশ্য মোটরসাইকেল রওনা দেন। তিনি কালীনগর বাজারে পৌঁছালে একই এলাকার মোঃ আজিজুল সরদার (৪৮), মোঃ ফকির সাইফুল (৪৯), ইদ্রিস গাজী (৪৫), শাহাদাত গাজী (৩৪), লুৎফর রহমান গাজী, হালিম মোল্যা (৪৬), সম্রাট ইসলাম (২৩), কবির সরদার (৩৫) অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাঁর ছেলে আলামিন বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করে। হামলাকারীরা তার ঘের কর্মচারী হানজালা সানা (২২) এর কাছ থেকে ঘের চাবি নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ছেলে আলামিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

আবুল বাশার বলেন, হামলার পর মামলা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। ফলে তিনি পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে না থাকায় এ হামলা হয়েছে। দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ওই মামলার আসামীরা জামিনে থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।