জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় বাংলাদেশে ভূমিকম্প সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে জাইকার সহায়তা কামনা করেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) টোকিওতে জাইকার সদর দপ্তরে এ সাক্ষাতের সময় অন্যদের মধ্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম এবং দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পায়।
এসময় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি ভূমিকম্প সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি মডেলের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের আবাসন খাত ও নগর উন্নয়নে জাপানের এ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে জাইকার সহায়তা কামনা করেন।
জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচি সংস্থাটির দপ্তরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তিনি নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ উদ্যোগ পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় দুদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ ছাড়া বাংলাদেশে চলমান জাইকার প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন কাওয়ামুরা কেনিচি। বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।