আজ বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo মেডিকেলে চান্স পাওয়া জয়ের পাশে দাড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও Logo সাতক্ষীরায় জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন Logo সাতক্ষীরায় অবৈধ এবং ফিটনেস বিহীন কোন যানবহন চলবে না জেলা প্রশাসক, মোস্তাক আহমেদ Logo হত্যা মামলায় কলেজ গ্রেপ্তার Logo জানেনা কলেজের টেন্ডার ও ক্রয় কমিটি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ১৮ বিঘা জমি দরপত্র ছাড়াই ৭০ হাজার টাকায় ইজারা Logo সাতক্ষীরার জলপুর গোবিন্দ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান Logo বুধহাটায় বিভিন্ন সারের দোকানে মোবাইল কোর্ট, ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় Logo আশাশুনির আনুলিয়ায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একসরা সড়কে কার্পেটিং এর কাজ উদ্বোধন Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির হাতে বিপুল পরিমাণ মাদক ও ভারতীয় পন‍্য আটক Logo রাজশাহীর বিদায় ঢাকাকে হারিয়ে প্লে অফে খুলনা
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

সাতক্ষীরায় ২ কোটি টাকার আমের ক্ষতি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০১:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছের আম ঝরে পড়েছে। অনেক গাছ উপড়ে গেছে। ঝরে পড়া এসব আমের কোনো ক্রেতা পাচ্ছেন না আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। কালীগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম জানান, আম, লিচুসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। ঘূর্ণিঝড়ে তার ২-৩ লাখ টাকার আম ঝরে পড়েছে। সেই সঙ্গে লিচু ঝরে ক্ষতি হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয় আরেক কৃষক জানান, রোববার রাতের ঝড়ে গাছের আম সব ঝরে গেছে। কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আমের কোনো ক্রেতা নেই। এসব আম কী করব, বুঝতে পারছি না। আম বিক্রির টাকাতেই আমাদের সারা বছর সংসারের খরচ চলে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে লিচু গাছের জন্য এক ব্যবসায়ী ৪৫ হাজার টাকা দাম বলেছিলেন, কিন্তু বিক্রি করিনি। ভেবেছিলাম আরও বেশি দামে লিচু গাছটি বিক্রি করব। তবে ঝড়ে আম ও লিচু দুটোরই ক্ষতি হয়ে গেল। এমন চিত্র জেলার সব মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ও চাষির।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, আম ক্যালেন্ডারের কারণে আমের কোনো ক্ষতি হয়নি। ব্যবসায়ী, কৃষক ও বাজার কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে আম ক্যালেন্ডার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ জন আম চাষি রয়েছেন। সবমিলিয়ে এ বছর ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অনেক আম পড়ে গেছে, এক্ষেত্রে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ৩২২ টন আমের ক্ষতি হয়েছে। যার বাজার মূল্য দুই কোটি টাকা। আম চাষিদের প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরাও চেষ্টা করছি, যাতে এ জেলার আমের সুখ্যাতি ধরে রাখতে পারি। তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালি জাতের আম সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে না থাকায় কিছু আম থেকে যায়। যে কারণে ৩২২ টন নামের ক্ষতি হয়েছে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মেডিকেলে চান্স পাওয়া জয়ের পাশে দাড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সাতক্ষীরায় ২ কোটি টাকার আমের ক্ষতি

আপডেট সময়: ০১:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছের আম ঝরে পড়েছে। অনেক গাছ উপড়ে গেছে। ঝরে পড়া এসব আমের কোনো ক্রেতা পাচ্ছেন না আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। কালীগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম জানান, আম, লিচুসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। ঘূর্ণিঝড়ে তার ২-৩ লাখ টাকার আম ঝরে পড়েছে। সেই সঙ্গে লিচু ঝরে ক্ষতি হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয় আরেক কৃষক জানান, রোববার রাতের ঝড়ে গাছের আম সব ঝরে গেছে। কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আমের কোনো ক্রেতা নেই। এসব আম কী করব, বুঝতে পারছি না। আম বিক্রির টাকাতেই আমাদের সারা বছর সংসারের খরচ চলে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে লিচু গাছের জন্য এক ব্যবসায়ী ৪৫ হাজার টাকা দাম বলেছিলেন, কিন্তু বিক্রি করিনি। ভেবেছিলাম আরও বেশি দামে লিচু গাছটি বিক্রি করব। তবে ঝড়ে আম ও লিচু দুটোরই ক্ষতি হয়ে গেল। এমন চিত্র জেলার সব মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ও চাষির।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, আম ক্যালেন্ডারের কারণে আমের কোনো ক্ষতি হয়নি। ব্যবসায়ী, কৃষক ও বাজার কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে আম ক্যালেন্ডার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ জন আম চাষি রয়েছেন। সবমিলিয়ে এ বছর ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অনেক আম পড়ে গেছে, এক্ষেত্রে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ৩২২ টন আমের ক্ষতি হয়েছে। যার বাজার মূল্য দুই কোটি টাকা। আম চাষিদের প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরাও চেষ্টা করছি, যাতে এ জেলার আমের সুখ্যাতি ধরে রাখতে পারি। তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালি জাতের আম সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে না থাকায় কিছু আম থেকে যায়। যে কারণে ৩২২ টন নামের ক্ষতি হয়েছে।