আজ রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo নলতায় প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় যুবক আটক; মোটা অংকের টাকায় রফাদফা Logo এডাব জেলা কমিটির বাৎসরিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo সাতক্ষীরা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন Logo ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে উদ্ধার ৬টি হনুমান Logo ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে এসিল্যান্ড, কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে ৩ ভাইয়ের এ যাত্রায় রক্ষা Logo তালায় জমি লিখে না দেওয়ার প্রভাবশালী কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দাবিতে মানববন্ধন Logo ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবরুদ্ধ Logo মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

মামলার তদন্তে গিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০১:২৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকতে একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এক পক্ষের নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি খোয়ান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রায় ১২ বছর মামলার বিচারকাজ শেষে ওই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আজিজুল ইসলাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এজাহারে নির্যাতিত ওই মহিলা উল্লেখ করেন, আমার পৈতৃক জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম চৌধুরী। সেই সুবাদে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করলে আমি অসহায় বোধ করি।

২০১১ সালের ৯ মে দারোগা আজিজ আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যেন তাকে ভুলে যাই। পরে ২০১১ সালের ১২ মে সিলেট উপমহাপরিদর্শক (সিলেট পুলিশ রেঞ্জ) বরাবরে দরখাস্ত করি। ২০১২ সালে ৯ মে আইজিপি বরাবর দরখাস্ত দেই। এ ঘটনায় ছাতক থানায় ২০১২ সালের ৮ আগস্ট অভিযোগ দায়ের করি, কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকদ্দমা এফআইআর না করায় ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হই। ওই নারী ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আজিজুর রহমানকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত আজিজুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। তিনি ২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রোকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পিপি নান্টু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নলতায় প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় যুবক আটক; মোটা অংকের টাকায় রফাদফা

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মামলার তদন্তে গিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময়: ০১:২৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকতে একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এক পক্ষের নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি খোয়ান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রায় ১২ বছর মামলার বিচারকাজ শেষে ওই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আজিজুল ইসলাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এজাহারে নির্যাতিত ওই মহিলা উল্লেখ করেন, আমার পৈতৃক জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম চৌধুরী। সেই সুবাদে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করলে আমি অসহায় বোধ করি।

২০১১ সালের ৯ মে দারোগা আজিজ আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যেন তাকে ভুলে যাই। পরে ২০১১ সালের ১২ মে সিলেট উপমহাপরিদর্শক (সিলেট পুলিশ রেঞ্জ) বরাবরে দরখাস্ত করি। ২০১২ সালে ৯ মে আইজিপি বরাবর দরখাস্ত দেই। এ ঘটনায় ছাতক থানায় ২০১২ সালের ৮ আগস্ট অভিযোগ দায়ের করি, কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকদ্দমা এফআইআর না করায় ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হই। ওই নারী ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আজিজুর রহমানকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত আজিজুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। তিনি ২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রোকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পিপি নান্টু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।