আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০২:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইরান। সোমবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর দুটি গোপন প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এ ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান ইচ্ছা করলে বেশ কয়েকটি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারে। জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি নজরদারি সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ সমানতালে এগিয়ে নিচ্ছে ইরান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ার পর ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রমে গতি এনেছে।

আইএইএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, তা ২০১৫ সালে তেহরান ও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে উপনীত চুক্তিতে বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে থাকা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুতের পরিমাণ ৬,২১৩.৩ কিলোগ্রামের (১৩,৬৭১.৫ পাউন্ড) বেশি। ফেব্রুয়ারিতে আইএইএ-এর শেষ প্রতিবেদন দেওয়ার পর ইরান এই পরিমাণ ৬৭৫.৮ কিলোগ্রাম (১,৪৮৯.৮ পাউন্ড) বৃদ্ধি করেছে। আইএইএ-এর পরিচালক এবং জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি গত মাসে বলেছিলেন, ইরানের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এ ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান ইচ্ছা করলে বেশ কয়েকটি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারে। স্কাই নিউজকে তিনি এপ্রিলে বলেন, যে পর্যায়ের পরিদর্শন আমাদের প্রয়োজন, সেই পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ ইরানে করা যাচ্ছে না।

ইরানের কর্মকর্তারাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তারা প্রয়োজনে পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারেন। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পরিদর্শনের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে ২০২৩ সালে জাতিসংঘ ও ইরানের মধ্যকার চুক্তির ব্যাপারে দুপক্ষ এখনো কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএইএ-এর কর্মকর্তাদের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন প্রতিহত করার ব্যাপারে তেহরান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা এখনো ইরান পুনর্বিবেচনা করেনি। দুপক্ষের চলমান আলোচনার মাধ্যমে ইরান সেটা পুনর্বিবেচনা করবে বলে আইএইএ আশা করছে।

আইএইএ প্রধান সম্পর্ক উন্নয়নে এ মাসে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর সেই আলোচনাও স্থবির হয়ে গেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে নিয়ে তেহরানের পরমাণু আলোচনা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইরানের সঙ্গে আইএইএ-এর টানাপড়েন শুরু হয়।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান

আপডেট সময়: ০২:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইরান। সোমবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর দুটি গোপন প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এ ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান ইচ্ছা করলে বেশ কয়েকটি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারে। জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি নজরদারি সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ সমানতালে এগিয়ে নিচ্ছে ইরান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ার পর ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রমে গতি এনেছে।

আইএইএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, তা ২০১৫ সালে তেহরান ও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে উপনীত চুক্তিতে বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে থাকা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুতের পরিমাণ ৬,২১৩.৩ কিলোগ্রামের (১৩,৬৭১.৫ পাউন্ড) বেশি। ফেব্রুয়ারিতে আইএইএ-এর শেষ প্রতিবেদন দেওয়ার পর ইরান এই পরিমাণ ৬৭৫.৮ কিলোগ্রাম (১,৪৮৯.৮ পাউন্ড) বৃদ্ধি করেছে। আইএইএ-এর পরিচালক এবং জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি গত মাসে বলেছিলেন, ইরানের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এ ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান ইচ্ছা করলে বেশ কয়েকটি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারে। স্কাই নিউজকে তিনি এপ্রিলে বলেন, যে পর্যায়ের পরিদর্শন আমাদের প্রয়োজন, সেই পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ ইরানে করা যাচ্ছে না।

ইরানের কর্মকর্তারাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তারা প্রয়োজনে পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারেন। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পরিদর্শনের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে ২০২৩ সালে জাতিসংঘ ও ইরানের মধ্যকার চুক্তির ব্যাপারে দুপক্ষ এখনো কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএইএ-এর কর্মকর্তাদের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন প্রতিহত করার ব্যাপারে তেহরান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা এখনো ইরান পুনর্বিবেচনা করেনি। দুপক্ষের চলমান আলোচনার মাধ্যমে ইরান সেটা পুনর্বিবেচনা করবে বলে আইএইএ আশা করছে।

আইএইএ প্রধান সম্পর্ক উন্নয়নে এ মাসে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর সেই আলোচনাও স্থবির হয়ে গেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে নিয়ে তেহরানের পরমাণু আলোচনা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইরানের সঙ্গে আইএইএ-এর টানাপড়েন শুরু হয়।