ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের ৫৪১টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক নষ্ট হয়েছে ৪৪৮টি এবং সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে ৯৩টি ঘরবাড়ি। এছাড়া প্রায় ২শ হেক্টর মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে কাজ করছে না। এজন্য সবার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির একটা তালিকা করা হয়েছে। তবে তা পূর্ণাঙ্গ নয়।
এদিকে, উপজেলা সামাজিক বন বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গাছগাছালি উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী এখনো ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাথে দমকা হাওয়া বইছে। জেলার ২২ লাখ মানুষ প্রায় ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছেন।
এদিকে সোমবার (২৭ ম) দুপুরের কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুলিয়া এলাকায় ভেড়িবাধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ শুরু করলে গ্রামবাসী বালির বস্তা ফেলে পানি ঢোকা বন্ধ করার চেষ্টা চালায়। একইভাবে বিছট গ্রামের সরদার বাড়ির সামনের ভেড়িবাধ উপচে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি লোকাল রায় প্রবেশে চেষ্টা করলে গ্রামবাসী বাঁধের উপর মাটি দিয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করে। এছাড়া আশাশুনি উপজেলার আরো কয়েকটি স্থানে ভেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।