আজ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিচয়ে হারবালের রমরমা বাণিজ্য

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০১:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের পরিচয়ে হেয়ার টনিকসহ রূপচর্চার নানা হারবাল পণ্যের বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল খুলে চালানো হয় বিজ্ঞাপন। মন্ত্রীর নাম দেখার কারণে মানুষ বিশ্বাস করে এসব পণ্য অর্ডার করেন। সম্প্রতি চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে হারবালসামগ্রী বিক্রির রমরমা বাণিজ্যে জড়িত এক ভিয়েতনামী নাগরিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– ভিয়েতনামী নাগরিক ট্রান-আনহ-থো ওরফে মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন ওরফে ইয়ামিন।

গত শুক্রবার (২৪ মে) রাতে গুলশান এলাকায় ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) একটি অভিযানে পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ ও প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চাইনিজ ও ভিয়েতনামী পণ্য জব্দ করা হয়। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

হারুন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। একপর্যায়ে আমরা দেখতে পাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করে হেয়ার টনিক ও চুলের ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর সূত্র ধরেই ডিবি গুলশানে অভিজাত এলাকায় একটি ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামে কোম্পানির সন্ধান পায়। যারা শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রী নয় দেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম-ছবি ব্যবহার করে ভিয়েতনাম ও চীন থেকে আমদানি করা নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে আসছিল।

ডিবি প্রধান বলেন, মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন প্রতারণা চক্রের মূল এজেন্ট। ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিজ্ঞাপন দেয়। এই অ্যাকাউন্টগুলো ভিয়েতনাম থেকে মিস্টার ডং নামে একজন পরিচালনা করেন। আর সেই চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে দেশের সাধারণ মানুষ অর্ডার করেন। এরপর ভিয়েতনামে থাকা এ চক্রের মার্কেটিং গ্রুপ থেকে ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামের কোম্পানিতে বাংলাদেশি কর্মরত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বর থেকে গ্রাহককে ফোন করে অর্ডার কনফার্ম করে কুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। এসব নিম্নমানের পণ্য ভিয়েতনাম-চীন থেকে আনা হলেও সেসব পণ্য বাংলাদেশে বিপণনের কোনো বৈধতা নেই। এ সময় সাধারণ মানুষকে এসব বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে সতর্ক থাকতে বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিচয়ে হারবালের রমরমা বাণিজ্য

আপডেট সময়: ০১:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের পরিচয়ে হেয়ার টনিকসহ রূপচর্চার নানা হারবাল পণ্যের বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল খুলে চালানো হয় বিজ্ঞাপন। মন্ত্রীর নাম দেখার কারণে মানুষ বিশ্বাস করে এসব পণ্য অর্ডার করেন। সম্প্রতি চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে হারবালসামগ্রী বিক্রির রমরমা বাণিজ্যে জড়িত এক ভিয়েতনামী নাগরিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– ভিয়েতনামী নাগরিক ট্রান-আনহ-থো ওরফে মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন ওরফে ইয়ামিন।

গত শুক্রবার (২৪ মে) রাতে গুলশান এলাকায় ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) একটি অভিযানে পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ ও প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চাইনিজ ও ভিয়েতনামী পণ্য জব্দ করা হয়। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

হারুন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। একপর্যায়ে আমরা দেখতে পাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করে হেয়ার টনিক ও চুলের ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর সূত্র ধরেই ডিবি গুলশানে অভিজাত এলাকায় একটি ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামে কোম্পানির সন্ধান পায়। যারা শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রী নয় দেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম-ছবি ব্যবহার করে ভিয়েতনাম ও চীন থেকে আমদানি করা নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে আসছিল।

ডিবি প্রধান বলেন, মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন প্রতারণা চক্রের মূল এজেন্ট। ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিজ্ঞাপন দেয়। এই অ্যাকাউন্টগুলো ভিয়েতনাম থেকে মিস্টার ডং নামে একজন পরিচালনা করেন। আর সেই চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে দেশের সাধারণ মানুষ অর্ডার করেন। এরপর ভিয়েতনামে থাকা এ চক্রের মার্কেটিং গ্রুপ থেকে ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামের কোম্পানিতে বাংলাদেশি কর্মরত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বর থেকে গ্রাহককে ফোন করে অর্ডার কনফার্ম করে কুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। এসব নিম্নমানের পণ্য ভিয়েতনাম-চীন থেকে আনা হলেও সেসব পণ্য বাংলাদেশে বিপণনের কোনো বৈধতা নেই। এ সময় সাধারণ মানুষকে এসব বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে সতর্ক থাকতে বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।